দেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।সকল রাজনৈতিক দল আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।রোববার সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি রাঙ্গামাটির নবনির্মিত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত ভবনের উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে।এতে বিএনপি অংশ নেয়নি,আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান কী,সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন,সরকারের অবস্থান বড় কথা নয়,কমিশনের সঙ্গে দলগুলোর সংলাপ হচ্ছে। আমার মনে হয়,এ সংলাপের পর নির্বাচন কমিশন কী বলবেন,সেটা শোনার জন্য আমরা অপেক্ষা করব।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের উদ্বোধন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন,আজকে বিচার বিভাগের জন্য একটি অত্যন্ত শুভক্ষণ।২০০৭ সালে বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করা হয়।কিন্তু সেটি কিছুটা কাগজে পৃথকীকরণের মতোই ছিল।আদালত চালানোর জন্য যে ভৌত-কাঠামো দরকার সেগুলো তখন ছিল না।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৩টি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন এবং চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্মাণ করা হয়েছে,হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সেখানে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।রাঙামাটিতে আমরা ৩৪তম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন উদ্বোধন করতে যাচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন,আপনারা জানেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন,এ স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য বিচার বিভাগকে কিছু সুবিধাদি দিতে হয়।এ ভবন নির্মাণ করা হলে বিচার বিভাগ অপরের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের কাজ করতে পারবে। আনিসুল হক বলেন,বৃটিশ আমল,পাকিস্তান আমল,জিয়াউর রহমান,এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে বিচার বিভাগের যে উন্নয়ন হয়েছে তার সবগুলো যোগ করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়কালের উন্নয়নের সমান হবে না।এটি নিছক মুখের কথা নয়।উন্নয়নের তথ্য,পরিসংখ্যান তাই বলে। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দীপংকর তালুকদার এমপি,রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী,আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব ও প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক বিকাশ কুমার সাহা,রাঙ্গামাটি জেলা ও দায়রা জজ মো.নুরুল ইসলাম,চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফারুক প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।