ইয়েমেনে আল কায়েদার হাতে অপহরণের শিকার জাতিসংঘের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনামকে দেশে ফেরানো হয়েছে। বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেলে হযরত শাহজালাল (রাহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাকে বহনকারী বিমানটি।
এর আগে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাতে সুফিউল আনামকে উদ্ধারের খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র।
উদ্ধারের পর তাৎক্ষণিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দাকে (এনএসআই) ধন্যবাদ জানান সুফিউল আনাম।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চল থেকে অপহরণের শিকার হন বাংলাদেশের সাবেক সেনা কর্মকর্তা একেএম সুফিউল আনাম। এরপর থেকে কোনো খোঁজ মিলছিল না জাতিসংঘে কর্মরত এই কর্মকর্তার। ধারণা করা হয়, অপহরণের পর তাকে হত্যা করে জঙ্গি গোষ্ঠী।
প্রায় সাত মাস পর গত ৭ সেপ্টেম্বর ওই কর্মকর্তার একটি ভিডিও প্রকাশ করে জঙ্গি গোষ্ঠীদের অনলাইন তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ।
জানা যায়, আল কায়েদার ইয়েমেন শাখা অপহরণ করে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুফিউলকে। আল কায়েদার দাবিদাওয়া মেনে নিজেকে মুক্ত করতে সুফিউল আকুতি জানান জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে। উল্লেখ করেন নিজের দুর্দশা ও শারীরিক দুরবস্থার কথা।
সুফিউল আনামকে মুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর চিঠিও পাঠায় তার পরিবার।
এ বিষয়ে তখন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, শুরু থেকেই ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে কথাও হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। তবে মুক্তিপণ দিয়ে কোনো কর্মকর্তাকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে নীতিগত বাধা আছে জাতিসংঘের।
তাকে উদ্ধারে ঢাকায় নিযুক্ত ইয়েমেনসহ পাশের দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়মিত চাপ দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ। ১৯৭৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন একেএম সুফিউল আনাম। অবসরের পর ইয়েমেনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।