দেশে না চললেও, বিদেশের বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে আমির খানের ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’। দেশে যখন এই ছবি ঘিরে বয়কটের ডাক, নানা মামলা মোকদ্দমা। ঠিক সেই সময় বিদেশের পার্টি প্রশংসিত লাল সিং চাড্ডা।
শুধু প্রশংসিতই নয়, বিশ্ব বাজারে ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’, ‘ভুল ভুলাইয়া’, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির থেকেও বেশি ব্যবসা করছে ‘লাল সিং চাড্ডা’। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছবি মুক্তির এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ব বাজারে প্রায় ৫৯ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে ‘লাল সিং চাড্ডা।’
অন্যদিকে, ছবিটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের উপহাস করার অভিযোগে। কেবল এই ছবিটিই নয়, মামলা দায়ের করা হয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘সাবাস মিথু’ ছবিটির বিরুদ্ধেও। তবে এখনও বিষয়টি নিশ্চিত করেনি থানা-পুলিশ।
তবে ‘ডক্টরস উইথ ডিসএবিলিটি’ সংস্থার যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা ড. সত্যেন্দ্র সিং তার অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত যে নোটিস ইস্যু করেছে তা শেয়ার করেছেন। তার অভিযোগ, ওই দুই ছবি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার আইনকে ভঙ্গ করেছে। আদালতের ইস্যু করা নোটিসে দেখা যাচ্ছে, আদালত এই অভিযোগে ছবিগুলোর পরিচালকদের কাছ থেকে উত্তর চেয়েছে। পাশাপাশি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের কাছ থেকেও উত্তর চাওয়া হয়েছে।
১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া সুপারহিট হলিউড ছবি ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর অনুকরণেই তৈরি ‘লাল সিং চাড্ডা’র কপালে যে এ রকম পরিণতি লেখা ছিল তা আন্দাজও করতে পারেননি আমির খান। বক্স অফিসে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে ছবিটি। শোনা যাচ্ছে, সিনেমা হলে এর আয়ু এক সপ্তাহই। অর্থাৎ পরের সপ্তাহেই বেশিরভাগ প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরিয়ে ফেলা হতে পারে বিগ বাজেটের এই ছবিকে।
নতুন খবর অনুযায়ী, ওটিটিতেও একেবারে ব্রাত্য ‘লাল সিং চাড্ডা’। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, নেটফ্লিক্স ও অন্যান্য বড় মাপের ওটিটি সংস্থা কিনতে চাইছে না ‘লাল সিং চাড্ডা’র কপিরাইট। বহুবার আমিরের সঙ্গে মিটিং করার পরেও নাকি ওটিটি সংস্থাকে রাজি করাতে পারেননি।