রাত ৮টার পর দোকানপাট ও বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার জন্য সরকার নির্দেশনা দিলেও নজরদারির অভাবে চলছে ঢিলেঢালা। তবে সরকারের নজরদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি ৯০ শতাংশই আইন মানছে। কেউ কেউ মেয়র বা মন্ত্রীর লোক দোহাই দিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছে নজরদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
এদিকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের দাবি, দোকান বন্ধ আইনের ৮০ শতাংশ কার্যকর হচ্ছে।
সরকারের নজরদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আরো নজরদারি বাড়ানো উচিত। এর আগে গত ১৬ জুন বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুশাসন দেয় রাত ৮টার পর দোকানপাট ও বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখতে। গত সোমবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।
সোমবার রাতে রাজধানীর ফকিরাপুল, কাকরাইল, শান্তিনগরসহ কয়েকটি এলাকায় রাত ৮টার পরও বাজার খোলা থাকতে দেখা গেছে। দোকানিরা জানান, রাত ৮টার পর অফিসফেরত বিশাল একটি অংশ বাজার করেন। ফলে তাঁদের খোলা রাখতে হয়। এ জন্য দাবি সরকার যেন আরেকটু বেশি সময় দেয়।
এদিকে গতকাল বুধবার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়। সেই অনুসারে ঈদের আগে দোকানপাট খোলার সময় বাড়ানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আগামী ১ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত দোকানপাট, মার্কেট, বিপণিবিতান বন্ধের সময়ে সাময়িক পরিবর্তন করা হয়েছে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জনসাধারণের সুবিধার্থে দোকানপাট বন্ধের সময় রাত ৮টার পরিবর্তে ১০টা করেছে সরকার।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই) উপমহাপরিদর্শক এ কে এম সালাউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ডাইফি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সমন্বয়ে কাজ করছে। বেশির ভাগ দোকান মালিকরা সরকারের অনুশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি বলেন, কেউ কেউ রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে মানতে না চাইলেও আমরা তাঁদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলার (ডিআইএফই) উপমহাপরিদর্শক সৌমেন বড়ুয়া বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা, চেম্বার সমিতি সবার সমন্বয়ে রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ রাখার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে মানা হচ্ছে। এই জেলায় ৯০ শতাংশ দোকান মালিক সরকারের নির্দেশনা মানছেন।
চট্টগ্রাম জেলার (ডিআইএফই) উপমহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাকিব মুবারাত বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুসারে রাত ৮টার পর দোকান বন্ধের ঘোষণাকে শ্রমিক-মালিক স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেনে নিয়েছেন। এতে ঈদের খুশির মতো আনন্দ উপভোগ করছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সবাই মেনে নিয়েছেন। কেউ কেউ বিধান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকায় একটু দেরি করছেন। এ জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষকে আরো বেশি নজরদারি বাড়াতে হবে। আমি মনে করি প্রায় ৮০ শতাংশ কার্যকর করা হয়েছে।