মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে চাপে পড়েছে সফরকারী পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৩১৮ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান তুলেছে পাকিস্তান। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ১২৪ রানে পিছিয়ে পাকিস্তান।
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে ৬৬ ওভার খেলা হয়। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৮৭ রান করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। মার্নাস লাবুশেন ৪৪ ও ট্রাভিস হেড ৯ রানে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় দিন হেডকে ১৭ রানে বিদায় দেন পাকিস্তানী পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। হেড ফেরার পর টেস্টে ১৭তম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লাবুশেন। হাফসেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করার চেষ্টা করলেও আমির জামালের শিকার হয়ে ৬৩ রানে আউট হন লাবুশেন।
দলীয় ২৫০ রানে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে লাবুশেন ফেরার পর তিনশোর আগেই অষ্টম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এতে তিনশোর নীচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে অজিরা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার শেষ তিন ব্যাটার সেটি হতে দেননি। ৩১৮ রানের সংগ্রহ নিয়ে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। পরের দিকে মিচেল মার্শ ৪১, অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ১৩ ও মিচেল স্টার্ক ৯ রান করেন। পাকিস্তানের আমির জামাল ৩টি, হাসান-আফ্রিদি ও হামজা ২টি করে উইকেট নেন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ রানের সূচনা পায় পাকিস্তান। ওপেনার ইমামকে ১০ রানে আউট করে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লিওন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বিপক্ষে দারুণ ব্যাট করেন আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও অধিনায়ক শান মাসুদ। তাদের ৯০ রানের জুটির কল্যাণে তিন অংকে পৌঁছে যায় পাকিস্তানের স্কোর।
দলীয় ১২৪ রানে শফিককে শিকার করে অস্ট্রেলিয়াকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার কামিন্স। পঞ্চম টেস্ট হাফসেঞ্চুরির ইনিংসে ৫টি চারে ৬২ রান করেন শফিক। তার আউটের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। দলীয় ১৭০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে দিনের শেষভাগে এলোমেলো হয়ে যায় উপমহাদেশের দলটি। তারকা ব্যাটার বাবর আজমকে ১ রানে বোল্ড করেন কামিন্স।
অষ্টম হাফসেঞ্চুরি করে ৭৬ বলে ৫৪ রান করে লিওনের দ্বিতীয় শিকার হন মাসুদ। এছাড়া সৌদ শাকিলকে ৯ রানে জশ হ্যাজেলউড এবং আগা সালমানকে ৫ রানে শিকার করেন কামিন্স। ষষ্ঠ উইকেটে ৪২ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৪ রান যোগ করে দিন শেষ করেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও জামাল। রিজওয়ান ২৯ ও জামাল ২ রানে অপরাজিত আছেন। অস্ট্রেলিয়ার কামিন্স ৩টি, লিওন ২টি নেন।