কাতার বিশ্বকাপে ইকুয়েডর দারুণ ছন্দে থেকে ইতোমধ্যেই নজর কেড়েছে সবার। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক দেশ কাতারের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে শুরু করে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ডাচদের সঙ্গে ড্র করে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ইকুয়েডর এখন গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডের সঙ্গে পরাজিত হলেও স্বাগতিক কাতারকে বিদায় করে দিয়ে সেনেগালও নক আউট পর্বে খেলার দৌড়ে টিকে আছে।
আজ গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ খেলায় খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে রাত ৯টায় মুখোমুখি হবে ইকুয়েডর সেনেগাল। এ ম্যাচে সমীকরণ একেবারেই সহজ যে জিতবে সেই উঠবে রাউন্ড ১৬তে। তবে ইকুয়েডরের সামনে সুযোগ বেশি তারা ড্র করলেও দ্বিতীয় বারের মতো নকআউট পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। কারণ তারা সেনেগালের চেয়ে ১ পয়েন্ট এগিয়ে আছে। এর আগে ইকুয়েডর প্রথম বারে রাউন্ড ১৬ তে খেলেছিল ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে। এবার খেলতে পারলে তা হবে দ্বিতীয় বারের মতো।
এদিকে ইকুয়েডরের আর্জেন্টাইন কোচ গুস্তাভো আলফারো ইতোমধ্যেই তার ট্যাকটিকাল দক্ষতা দিয়ে সারা বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। আক্রমণভাগের সঙ্গে রক্ষণের একটি দারুণ সমন্বয়ের মাধ্যমে তিনি ইকুয়েডরকে গোছানো ফুটবল খেলা রপ্ত করিয়েছেন। প্রথম দিন কাতারের বিপক্ষে এনার ভ্যালেন্সিয়ার দুই গোলে ইকুয়েডর ২-০ ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষেও গোল পেয়েছেন ভ্যালেন্সিয়া। ৪৯ মিনিটে তার দেওয়া গোলেই ইকুয়েডর সমতা ফেরায়। ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে এখন ভ্যালেন্সিয়া তিন গোল দিয়ে সর্বাধিক গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। এখন দেখার অপেক্ষা সেনেগালের কৌশলী রক্ষণভাগকে ভেঙে তিনি কতটা নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন।
এছাড়া গ্রুপ-এ থেকে পরের রাউন্ডে যাবার সুযোগ সেনেগালেরও রয়েছে। কিন্তু সেজন্য জয় ভিন্ন বিকল্প নেই। কাতারকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সেনেগাল রয়েছে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। আল থুমামা স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচে বুলায়ে ডিয়া, ফামারা ডিয়েহিউ ও বাম্বা ডিয়েংয়ে গোল করেছেন। অবশ্যই এই জয়ের পর তাদেরও নক আউট পর্বে যাবার সব সুযোগ শঙ্কায় রয়েছে।
এই ম্যাচের জন্য শক্তিশালী দল নিয়েই মাঠে নামছে ইকুয়েডর। নেদারল্যান্ডের সঙ্গে ইনজুরিতে পড়ায় দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ভ্যালেন্সিয়ার খেলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত ভ্যালেন্সিয়া খেলতে না পারলে ইকুয়েডরকে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। এই মুহূর্তে ব্রাইটনের ফরোয়ার্ড জেরেমি সারমিয়েতো কিংবা কেভিন রডরিগুয়েজই তার স্থানে খেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।