পর্যটন, শিক্ষা ,আইসিটি , কৃষি ও যোগাযোগ খাতে বাণিজ্য বিনিয়োগ সহ বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আগ্রহী মরিশাস। সফররত মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজ সিং রুপুন শনিবার (১৩ মে) বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান।
সস্ত্রীক বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এ সময় মরিশাসের ফার্স্ট লেডিকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা । বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের জাহাজ তৈরি করে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ থেকে জাহাজ আমদানির আহ্বান জানান। বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ ও আধাদক্ষ জনশক্তি নেয়ারও কথা বলেন তিনি। মরিশাসের প্লেন-ভারতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে রাস্তার নামকরণ করায় সেদেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে মরিশাসের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে মরিশাসের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজ সিং রুপুন পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এর পর, মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি বলেন বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে বাণিজ্য বিনিয়োগ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর এবং ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মালদ্বীপ সফর দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। বাণিজ্য বিনিয়োগ সহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্থল, নৌ ও আকাশ পথে যোগাযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং মরিশাসের প্রেসিডেন্ট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিনিয়োগ সহ পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তারা বাণিজ্য বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পারস্পরিক সফর বিনিময়ের উপর জোর দেন।
মালদ্বীপে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দুই দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নেয়ার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে মালদ্বীপের প্রতি আহ্বান জানান। সাক্ষাৎকালে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তিনি দু দেশের মধ্যে বাণিজ্য বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম- মালদ্বীপ সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন ।