প্রথম ম্যাচে ঘানার বিপক্ষে জয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তা অনেকটা সহজ করে রেখেছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। আজ উরুগুয়ের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে পর্তুগিজরা। এতে দুই ম্যাচে দুই জয় নিয়ে নক-আউট পর্ব নিশ্চিত করল পর্তুগাল। অন্যদিকে এক হার ও এক ড্র নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে রয়েছে উরুগুয়ে।
সোমবার রাতে কাতার বিশ্বকাপের ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে লুসাইল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় পর্তুগাল ও উরুগুয়ে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা লড়াইয়ে ব্রুনো ফার্নান্দেজের জোড়া গোলে সুয়ারেজ কাভানিদের ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে পর্তুগাল।
ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে এগিয়ে থাকা পর্তুগাল বেশ কয়েকটি আক্রমণ সাজায়। যদিও ম্যাচের পুরো প্রথমার্ধে একটি শটও গোলমুখে নিতে পারেনি পর্তুগাল। উরুগুয়ের শক্তিশালী রক্ষণভাগ পর্তুগিজ আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের বেশ ভুগিয়েছে। উরুগুয়ের রক্ষণভাগে গেলেই বল হারিয়ে ফেলে তারা। ৩২ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত এবং গোলের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি মিস করেন বেনতানচুর। মাতিয়াস বেসিনোর পাস ধরে মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে বক্সে কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ এক শট নেন বেনতাচুর। সেই শট অবশ্য ঠেকিয়ে দেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তা। গোলটি হলে হয়তো এবারের বিশ্বকাপের সেরা গোলের তকমা পেত। আর উরুগুয়েও এবারের বিশ্বকাপে প্রথম গোলের দেখা পেতো। কিন্তু তার ভাগ্যের মতো উরুগুয়ের ভাগ্যও বদলায়নি। এতে নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন বেনতাচুর।
বিরতির আগে গোলের উদ্দেশ্যে পর্তুগাল আটটি ও উরুগুয়ে চারটি শট নেয়, তার মধ্যে কেবল বেন্তানকুরের ওই চেষ্টাই লক্ষ্যে ছিল।
প্রথমার্ধের বিরতির পর ম্যাচের ৫৪ মিনিটে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। বাঁ দিক থেকে ক্রস তুলেছিলেন ব্রুনো। হেড করেন রোনালদো। যদিও পরে জানা যায় রোনালদো মাথা আসেলে বলে লাগেনি। ফলে গোলটি যোগ হয় ব্রুনো ফার্নান্দেজের নামে।
গোল খেয়ে তা শোধে মরিয়া চেষ্টা দেখা যায় উরুগুয়ের খেলায়।বদলি হিসেবে সুয়ারেজকে নামিয়ে দেন কোচ। উরুগুয়ের খেলায় আরও ঝাঁজ বাড়ে। একের পর এক আক্রমণ চালায়। যদিও গোলের দেখা পাচ্ছিল না উরুগুয়ে।
উল্টো ম্যাচের ৯০ মিনিটে আবারও গোল খেয়ে বসে উরুগুয়ে। নিজেদের বক্সে বক্সে ট্যাকল করতে গিয়ে হাতে বল লাগে জিমেনেজের। পেনাল্টি থেকে গোল করেন ব্রুনো।