ইউরোপজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মতো জার্মানিতেও এখন প্রচণ্ড গরম। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় কমছে নদীর পানির উচ্চতা। রাইন নদীর পানি কমছে দ্রুত। এর প্রভাবে শিল্পখাতে বাড়ছে বিপর্যয়ের শঙ্কা।
করোনা সংকট এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে জার্মানির অর্থনীতি এমনিতেই বেশ সংকটে রয়েছে। গতমাসে ইনস্টিটিউট ফর ইকনমিক রিসার্চ জানায়, জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড সাত দশমিক ছয় শতাংশে পৌঁছেছে।
অর্থনীতির এই মন্দাভাব আরেও প্রকট হতে পারে বলে মনে করেন ফেডারেল অব জার্মান ইন্ডাস্ট্রিজ (বিডিআই)-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হোলগার ল্যোশ। তার এমন আশঙ্কার কারণ বৈরি প্রকৃতি। বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না, তীব্র গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। বিরতিহীন গরম এবং অনাবৃষ্টির কারণে কমছে রাইন নদীর পানির উচ্চতা। ধীরে পণ্যবাহী যান চালানোই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। তাই তার আশঙ্কা খুব শিগগিরই পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি এমন দিকে চলে যেতে পারে যখন আর নদীতে পণ্যবাহী যান চালানো যাবে না এবং তার ফলে শিল্পখাতে বিপর্যয় নামবে।
তিনি বলেন, “দীর্ঘ খরা এবং পানির উচ্চতা কমে যাওয়া শিল্পখাতের সরবরাহকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। কোম্পানিগুলোর ক্রমশ খারাপের দিকে যেতে থাকা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখন আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে।”
তীব্র দাবদাহের এ মৌসুমে, বিশেষ করে নদীতে যখন পণ্যবাহী যান চলাচল কঠিন হয়ে পড়ছে, তখন অন্য বিকল্প থাকলে ভালো হতো। কিন্তু ল্যোশ জানান, জার্মানির রেল যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সীমাবদ্ধতা এবং ট্রাক চালকের স্বল্পতার কারণে পণ্য সরবরাহের অন্য বিকল্পগুলোও এই মুহূর্তে কাজে আসছে না।
ফেডারেল অব জার্মান ইন্ডাস্ট্রিজ (বিডিআই)-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনে করেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে বিশেষ করে রাসায়নিক, ইস্পাত, পেট্রোলিয়াম এবং নির্মাণ শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল গন্তব্যে পৌঁছানো অচিরেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।