লতি অর্থবছরের পঞ্চম মাসে রপ্তানির গতিও নেতিবাচক ধারায়। গত বছরের নভেম্বর মাসের তুলনায় এ বছরের নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। তাছাড়া কমেছে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও। সদ্যশেষ হওয়া নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৪৭৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে রপ্তানি আয় ছিল ৫০৯ কোটি ২৫ লাখ ডলার।
অর্থাৎ গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় এ বছর রপ্তানি আয় কমেছে ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। তাছাড়া গত অক্টোবর মাসেও দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ, এক মাসের ব্যবধানে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ইপিবির তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় এসেছে ২২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার কিছু বেশি। আগের বছর একই সময় রপ্তানি আয় এসেছিল ২১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। নভেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু পাঁচ মাস শেষে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। তবে গত বছরের তুলনায় এ সময় রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় গত বছরের চেয়ে বাড়লেও এ খাতের প্রবৃদ্ধিও আগের মাসের তুলনায় কিছুটা কমেছে। নভেম্বর শেষে তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় হয়েছে ১৮ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের একই সময়ে এ খাতের রপ্তানি ছিল ১৮ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।
গত বছরের চেয়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের চেয়ে রপ্তানি আয় বাড়লেও পোশাকের যে প্রবৃদ্ধি ছিল তা গত অক্টোবরের তুলনায় কমেছে। অক্টোবরে পোশাকের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ, কিন্তু তা নভেম্বরে কমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, রপ্তানি আয়ের তেমন বৈচিত্র্যায়ণ ঘটেনি। শুধু পোশাকে ভর করেই রপ্তানি আয়ের চিত্র আসছে। ২২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে শুধু পোশাকের রপ্তানিই এসেছে ১৮ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। অন্যখাতগুলোর বেশির ভাগই নেতিবাচক ধারায় রয়েছে।