মৃত মানুষের সংখ্যা ঠিক কত, তা আনুষ্ঠানিকভাবে উল্লেখ করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে উয়ো শহরের জনপ্রতিনিধি আদেলেগবে তিমিলেয়িন বলেছেন, হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। উয়োর হাসপাতালের এক চিকিৎসকও বলেছেন, শহরের ফেডারেল মেডিকেল সেন্টার ও সেন্ট লুই ক্যাথলিক হাসপাতালে কমপক্ষে ৫০টি মরদেহ পাঠানো হয়েছে।
ওন্দোর গভর্নর রোতিমি আকেরেদোলু বলেন, ‘আমাদের হৃদয় ভারাক্রান্ত। জনগণের শত্রুরা আমাদের শান্তি-প্রশান্তির ওপর আঘাত হেনেছে।’ এক বিবৃতিতে আকেরেদোলু আরও বলেন, ‘দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করতে এবং তাদের সাজা নিশ্চিত করতে আমরা সাধ্যমতো সব সক্ষমতা ব্যবহার করব।’
গতকালের এ হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেনি।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি গির্জায় উপাসকদের ওপর হামলার ঘটনাকে ‘জঘন্য’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কেবল পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ভয়ংকর শত্রুরাই এ ধরনের জঘন্য কাজটি করে থাকতে পারে। যা কিছুই ঘটুক না কেন, শয়তান ও দুষ্ট লোকের কাছে হার মানাটা এ দেশের জন্য উচিত হবে না। অন্ধকার দিয়ে আলোকে দাবিয়ে রাখা যায় না। নাইজেরিয়া ধীরে ধীরে জয় লাভ করবে।’
হামলার শিকার মানুষের জন্য প্রার্থনা করেছেন ভ্যাটিকান পোপ ফ্রান্সিস।
রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র ইবুনকুন ওদুনলামি বলেছেন, মৃত মানুষের সংখ্যা ঠিক কত, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তিনি বলেন, ‘ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা এখনই বলার সময় আসেনি। তবে হামলায় অনেক উপাসনাকারী প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন।’
নাইজেরিয়ার উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলা ও অপহরণের ঘটনা খুব পরিচিত। তবে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এ ধরনের হামলার ঘটনা বিরল। তা ছাড়া ওন্দো রাজ্যটি দেশটির শান্তিপূর্ণ রাজ্যগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত।