ক্যানসার রোগটির কথা শুনলেই আমরা এক ধরনের আতঙ্কে আক্রান্ত হই। মনে করি, বোধ হয় জীবনটা শেষ হয়ে গেল, জীবনের আলো বুঝি নিভে গেল।দেশে প্রতিনিয়ত ক্যানসার রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এর পরিসংখ্যান আরও ভয় পাইয়ে দিচ্ছে। তবে ক্যানসারের চিকিৎসা জটিল হলেও সময়মতো সঠিক চিকিৎসা হলে এবং নিয়মিত চিকিৎসকের ফলোআপে থাকলে সুস্থ হওয়া সম্ভব। শুরুতেই যদি আমরা সতর্ক হই, ক্যানসার যদি খুব দ্রুত নির্ণয় করা যায়, তাহলে দেখা যায়, তাদের পাঁচ বছরের যে সার্ভাইভাল সেটি অনেক বেশি হয়। শুরুতেই মানুষ চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। এবং তখন যা হয়, দেরিতে রোগ নির্ণয় হয় এবং শেষ দিকে ভালো কিছু হওয়ার থাকে না। মনে রাখতে হবে, হেলথ কেয়ার এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।ক্যানসার বিষয়ে সচেতনতার ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া-সবার অবদান রাখতে হবে।
হেড-নেক ক্যানসার কী?
মাথার খুলির মুখের অঞ্চল এবং গলার ভেতরে অনেকগুলো স্ট্রাকচার বা অঙ্গ আছে যেমন- নাক, সাইনাস, নাকের পিছনে ন্যাসোফ্যারিংস, মুখ, মখগহ্বর, জিহবা, গলার টনসিল, শ্বাসনালি, খাদ্যনালি, থাইরয়েড গ্রন্থি, লালাগ্রন্থি সেগুলোর সমষ্টিগত ক্যানসারকে হেড-নেক ক্যানসার বলা হয়। আমাদের গলার ভিতরের দিকে একটা আবরণ দিয়ে আবৃত থাকে যেটিকে আমরা মিউকাস মেমব্রেন বলি। এ মিউকাস মেমব্রেনের আবরণে ক্যানসারই বেশি হয় এবং যেটিকে আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় Squamous Cell ক্যানসার বলে থাকি। তবে একে বিশেষজ্ঞরা প্রতিরোধযোগ্য মরণব্যাধি নামে আখ্যায়িত করে থাকেন। যদি প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় করা যায় তাহলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
নাক-কান-গলার ক্যানসারের কারণ কী
* তামাক ও মদ্যপান মূল কারণ বিবেচ্য হলেও আমাদের দেশের জন্য পান-সুপারি-জর্দা অনেকাংশে দায়ী। বলা হয়ে থাকে নাক-কান-গলার ক্যানসারের মধ্যে ৭৫ শতাংশই তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের কারণে হয়। বেশিরভাগ ওরোফ্যারেনজিয়াল ক্যানসারের প্রধান ঝুঁকিপূর্ণ কারণ হলো তামাকের ব্যবহার।মদ্যপানের সঙ্গে ধূমপান যৌথভাবে ওরোফ্যারেনজিয়াল ক্যানসারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়াতে পারে।
* অতিরিক্ত রেডিয়েশনের সংস্পর্শে আসার ইতিহাস।
* সুপারি চেবানোর অভ্যাস/দীর্ঘক্ষণ সুপারি পাতা গালের চিপায় রেখে চেবানো থেকে এ ধরনের ক্যানসার হতে পারে।
* অতিরিক্ত ঝাল এবং মসলা জাতীয় খাবার নিয়মিতভাবে খাওয়ার অভ্যাস থেকে হতে পারে মুখ এবং মুখ গহ্বরের ক্যানসার।
* হিউম্যান প্যাপিলমা ভাইরাস (HPV-16) নামে এক ধরনের ভাইরাস এর সংক্রমণকে ইদানীং ওরোফ্যারেনজিয়াল ক্যানসারের জন্য দায়ী বলে ধরা হচ্ছে। এ ভাইরাস গলা ছাড়াও মহিলাদের জরায়ু ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
* এ ছাড়া কিছু নির্দিষ্ট প্যাকেটজাত লবণাক্ত খাবার এবং যারা বিভিন্ন ফার্নিচার কারখানায় কাঠ ও রঙের কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে নাক এবং নাকের পিছনের ক্যানসার হওয়ার সম্ভবনা বা ঝুঁকি থাকে।
* জেনেটিকস বা বংশগত কারণ থেকে হতে পারে তবে খুব কম।
* GERD (Gastro Oesophageal Reflyx Disorder) অর্থাৎ এসিডিটি সমস্যা হতে খাবার পাকস্থলী থেকে বেরিয়ে আসার রোগে দীর্ঘদিন ভুগলে গলার ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
* সবুজ শাক-সবজি এবং ভিটামিন সি-জনিত পুষ্টিকারক খাবার নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ না করলে।
* Bad oral hygiene অর্থাৎ মুখের ভিতর অপরিষ্কার রাখলে এবং দাতের ক্রনিক ইনফেকশন।
* মহিলাদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে রক্তশূন্যতায় (Iron defficiency) ভুগলে।
নাক, কান ও গলার ক্যানসারের উপসর্গগুলো কী কী
সাধারণত ৬০ শতাংশ রোগী অ্যাডভান্স স্টেজে ডাক্তারের নিকট আসেন। বিলম্বে আসার প্রধান কারণ হলো অসচেতনতা, অবহেলা, রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে অবহিত না থাকা এবং অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা। প্রথমে এ রোগীরা কবিরাজ, হোমিওপ্যাথি ইত্যাদি চিকিৎসা নিয়ে রোগ সারানোর চেষ্টা করে। দেখা যায়, যাকে সামান্য টিউমার ভেবে গুরুত্ব দেননি, সেটিই বহুদিন ধরে বয়ে চলেছে প্রাণঘাতি ক্যানসারের জীবাণু। কারণ এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যথাহীন, এতে সামান্য কিছু শারীরিক পরিবর্তন দেখা যায় তা প্রায়শই উপেক্ষা করা হয়, তাই রোগীরা দেরি করে আসে। ঘাড়ের গোটা বা লিম্ফ নোড এবং আসল জায়গা থেকে অন্যান্য অঙ্গে ক্যানসারের বিস্তারের ভিত্তিতে ক্যানসারকে ৪টি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে।
* মুখের এবং গলার ভেতরে বা বাইরে ঘা/ক্ষত/ আলসার যা প্রাথমিক চিকিৎসা সত্ত্বেও সহজে শুকায় না, বরং দিনে দিনে বেড়ে যায়। এ ক্ষতের কারণে খাবার চিবাতে বা গিলতে কষ্ট হয় এবং জলপান করতেও অসুবিধা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে মনে হয় গলায় কিছু আটকে আছে।
* গলা বা হেড-নেক আক্রান্ত অঞ্চলে ফোলাভাব অর্থাৎ লাম্প যাকে টিউমার বলে থাকি। মুখ-গলা এবং ঘাড়ের পিছনে ফোলা অংশ সৃষ্টি।
* একপাশে গলাব্যথা যা স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
* জিহবা নাড়াতে অসুবিধা।
* দাঁত নড়ে যাওয়া বা দাঁতে ব্যথা এবং ফোলা।
* এ অঞ্চলের টিউমারের সঙ্গে কানে ব্যথা। এক্ষেত্রে কানে কোনো সমস্য নেই, গলার ক্যানসারের কারণে কানে ব্যথা হয়।
* কর্কশ কণ্ঠ। অর্থাৎ কোনো কোনো সময় গলার স্বরভঙ্গ নিয়েও রোগী আসতে পারেন। তবে স্বরভঙ্গ হলেই যে ক্যানসার মনে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন তা কিন্তু নয়। গলার কণ্ঠের পরিবর্তন বা গলা ভাঙা যে কোনো কারণে হতে পারে। প্রাথমিক ওষুধ খাওয়ার পরও তিন সপ্তাহের অধিক স্বরভঙ্গ থাকলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই দেরি না করে একজন নাক-কান-গলা এবং হেড-নেক বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। এ গলাভাঙা থেকে হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
* অস্বাভাবিকভাবে ওজন হ্রাস। সঙ্গে অরুচি এবং ক্ষুধামান্দা।
* জিহবা অথবা মুখের ভিতরের উপরিত্বকে সাদা/লাল ছোপ বা প্যাচ।
* নাকের ক্যানসারের ক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত আসা। হঠাৎ মুখের গঠনগত পরিবর্তন।
* মুখ দিয়ে অস্বাভাবিক রক্তপাত। কাশির সঙ্গে রক্ত।
* চোয়াল শক্ত হয়ে যাওয়া এবং মুখ খুলতে অসুবিধা।
* থাইরয়েড গ্রন্থি যেটা গলার সামনের দিকে থাকে, সেটা দীর্ঘদিন ফুলে শক্ত হয়ে থাকা। অনেক সময় এ থাইরয়েড গ্রন্থির ফুলার সঙ্গে গলার কণ্ঠস্বর ভেঙে যেতে পারে।
* মুখের উভয় পাশে কানের ঠিক নিচে যে লালা গ্রন্থি আছে সেটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে শক্ত হয়ে গিয়ে যদি মুখ বেঁকে যায় এবং সঙ্গে এ লালা গ্রন্থির ফোলায় ব্যথা থাকতে পারে।
এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে অবশ্যই খোঁজ-খবর নিয়ে একজন নাক-কান-গলা এবং হেড-নেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখানো উচিত। মনে রাখবেন,সজাগ দৃষ্টিতে সচেতনভাবে বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে আমাদের এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে নাক-কান-গলা এবং হেড-নেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ওপর ভরসা রাখতে হবে।নাক-কান-গলার ক্যানসারের সুচিকিৎসা আমাদের দেশেই সম্ভব।
নাক-কান-গলার ক্যানসারের চিকিৎসা পদ্ধতি
ক্যানসার চিকিৎসায় সার্জারি,রেডিওথেরাপি,কেমোথেরাপি,টারগেটেড থেরাপি এবং কম্বাইন্ড থেরাপি প্রচলিত আছে এবং এসবের ফলে ক্যানসারমুক্তির হার দিন দিন বাড়ছে।জনসচেতনতা ও চিকিৎসা পদ্ধতির প্রসারই এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।তার পরও যে হারে ক্যানসার বাড়ছে সেই তুলনায় আমাদের দেশে চিকিৎসা সুবিধা অপ্রতুল।অবশ্য খুশির খবর হচ্ছে,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব বিভাগীয় হাসপাতালে ক্যানসার হাসপাতাল স্থাপনের যুগোপযোগী প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ সার্জন দেখিয়ে ক্যানসার ধরা পড়লে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করানো উচিত।
চিকিৎসাপদ্ধতি নির্বাচন বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে – ক্যানসারের ধরন এবং পর্যায়,টিউমারের অবস্থা,সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং রোগীর সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর।হেড-নেক ক্যানসারের চিকিৎসা রোগের এবং রোগীর ফ্যাক্টর বিবেচনা করে নিম্নে উল্লেখিত এক বা একাধিক প্রক্রিয়ার সাহায্যে করা হতে পারে-
* সার্জারি/অপারেশন : প্রাথমিক টিউমারের অস্ত্রোপচার যেমন-জিহবার ক্যানসার ক্ষত অপসারণ (গ্লসেকটমি)/চোয়ালের আক্রান্ত একটি অংশের অপসারণ (ম্যানডিবুল্যাকটমি)/মুখের শক্ত উপরিতলের একটি বা সমগ্র অংশের অপসারণ (ম্যাক্সিল্যাকটমি)/ঘাড়ের ব্যবচ্ছেদ এবং আংশিক বা গোটা ল্যারিংক্সের বা স্বরযন্ত্রের অপসারণ (ল্যারিঙ্গোটমি)/ঘাড়ের গোটা অপসারণ (নেক ডিসেকশন)/ক্যানসার আক্রান্ত থাইরয়েড গ্রন্থির টিউমার অপসারণ (থাইরয়েডেকটমি)/ক্যানসার আক্রান্ত লালাগ্রন্থি প্যারোটিড টিউমারের অপসারণ (প্যারোটিডেক্টমি) করে থাকেন আমাদের শ্রদ্ধেয় ইএনটি এবং হেড-নেক ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সার্জনরা।
* রেডিওথেরাপি : বহিরাগত বিম রেডিয়েশন বা আভা বিকিরণ এবং অভ্যন্তরীণ রেডিয়েশন বা বিকিরণ থেরাপি মিলে রেডিয়েশন থেরাপি সৃষ্টি হয়।রেডিওথেরাপি নিয়ে সমাজে ভ্রান্ত ধারণা আছে যে অনেকে মনে করে থাকেন রেডিওথেরাপিতে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়,এটা পুরোপুরি একটা কুসংস্কার। আসলে এক্সরে-তে যেভাবে রেডিয়েশন দেওয়া হয় ঠিক তেমনি রেডিওথেরাপিতে নির্দিষ্ট ক্যানসার আক্রান্ত স্থানে বিকিরণ দেওয়া হয়।
* কেমোথেরাপি দেওয়া যেতে পারে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে।
* অ্যাডভানসড ক্ষেত্রে মিলিতভাবে সার্জারি এবং রেডিওথেরাপি।
ক্যানসারের চিকিৎসায় প্রায়ই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।তাই বলে আতঙ্কিত না হয়ে ক্যানসার মোকাবিলার জন্য দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে নিতে হবে। কারণ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের যুগে সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সমাধান রয়েছে। ভয়কে করতে হবে জয়। রোগীকে চিকিৎসার ব্যাপারে আগ্রহী হতে হবে, ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে।
হেড-নেক ক্যানসার প্রতিরোধে করণীয়:
প্রতিরোধের উপায় একেকটা ক্যানসারের জন্য একেক ধরনের। যদিও পুরোপুরি প্রতিরোধ অসম্ভব, তবুও ঝুঁকি কমানোর জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি।
* তামাক পাতা-জর্দাকে না বলুন : তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য যেমন-কাঁচা তামাক, জর্দা, মুখের ভিতরে পান পাতা রেখে দেওয়া এবং অতিরিক্ত সুপারি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে এবং মুখের ভিতর পরিষ্কার রাখতে এসব থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রতিদিন উন্নতমানের টুথপেস্ট দিয়ে সঠিক নিয়মে দাত ব্রাশ করতে হবে।
* ধূমপান থেকে দূরে থাকুন : ধূমপানের সঙ্গে ক্যানসারের সম্পর্ক অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। বিশ্বে যত ধরনের ক্যানসার আছে তার মধ্যে ৯০ শতাংশ ক্যানসারই ধূমপানের কারণে হয়। এমনটাই জানাছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। প্রতিদিন ধূমপানের ফলে ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাঁধে ক্যানসার। আমেরিকান ক্যানসার বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ডেল ও রিচার্ড পেটোর মতে, মানবদেহে যত ধরনের ক্যানসার হতে পারে তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধূমপান ও তামাকের সরাসরি ভূমিকা রয়েছে।
* দীর্ঘ সময় সূর্যের ক্ষতিকর আলো থেকে ত্বক রক্ষা করুন : সূর্যের তাপ নির্গত অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের স্বাস্থ্য এবং ত্বকের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ ছাড়াও মুঠো ফোন থেকে নির্গত রেডিয়েশন ক্যানসারের অন্যতম কারণ হতে পারে।
* স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস করা উচিত : শরীরের নানা রোগের পিছনে খাদ্যভাসের প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল রাখুন। এ ছাড়াও খাদ্য তালিকায় রাখুন আঁশ জাতীয় খাবার।
* সহবাস করুন সুরক্ষিত উপায়ে : অবাঞ্ছিত যৌন সংসর্গেও ছড়াতে পারে ক্যানসার। সুতরাং সুরক্ষিত উপায়ে সহবাস করুন।
* প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করুন : ব্যায়াম ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। কারণ, যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা সুস্থ জীবনাচারী। এ ছাড়াও নিয়মিত ব্যায়ামে শরীরের হরমোন প্রবাহ, কোষ বৃদ্ধির হার থাকে স্বাভাবিক। সেইসঙ্গে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
* পরিহার করুন অতিরিক্ত মসলা জাতীয় ঝাল খাবার : সবসময় কম আঁচে খাবার রান্না করুন। গবেষকরা বলেন, যারা নিয়মিত অতিরিক্ত ভাজাপোড়া এবং অতিরিক্ত ঝাল মসলা জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত তাদের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে।
* জানুন পরিবারের মেডিকেল ইতিহাস : ক্যানসারের লক্ষণ সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য পেতে আপনার পারিবারিক চিকিৎসকের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন। এ ছাড়াও পরিবারের সদস্যদের পুরোনো এ ধরনের কোনো রোগ আছে কিনা সেই সম্বন্ধে আগে জানুন।
* মুখে কৃত্রিম দাঁত থাকলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যেন দাঁত ভালোমতো ফিট থাকে।