নানার মৃত্যুতে শোকার্ত চিত্রনায়িকা পরীমণি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পরীমণির শতবর্ষী নানা শামসুল হক গাজী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে গুলশানের আজাদ মসজিদে গোসল শেষে লাশ পরীমণির গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার নানির কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
আজ সকাল সাড়ে ৮টার সময় পরীমণি তার ফেসবুক পেজ থেকে চারটি ছবি সহ একটি পোস্ট দেন। সেখানে পরীকে তার নানার করবের পাশে দেখা যায়।
পোস্টে পরী লেখেন, এই কবরস্থানে এখন তিনটা কবর। প্রথমটা আমার মায়ের। তারপর নানি আর এই যে আমার জানের মানুষটার কবর। নানু মরে যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগে নাই কোনো দিন।
তিনি লেখেন, এ জীবনে আমার নানার মতো কেউ আমাকে ভালোবাসেনি আর। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন তারা সবাই জানেন মানুষটা আমার জন্যে কি ছিল। আজ হয়তো এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বট গাছ করে দিয়ে গেছে।
‘এর থেকে বড় কোনো শোক আমার আর আসবে না’ উল্লেখ করে শোকস্তব্ধ পরী আরও লেখেন, যদি আসে সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দেবেন এটা আমার নানুর দোয়া। কত ভাগ্যে আমি আমার নানুর সাথে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানুভাই কত সান্ত্বনায় রেখে গেল আমাকে।
শেষে পরী লেখেন, জীবন সুন্দর। মৃত্যু যে বড় সুন্দর…
পরীমণির নানা শামসুল হক বার্ধক্যজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এরপর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয় এবং সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।