প্রতি বছর মার্চ মাসের ৮ তারিখ বিশ্ব জুড়ে উদযাপিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। লিঙ্গবৈষম্য দূর করে নারীর প্রতি সম্মান ও সমানাধিকার জানাতেই দিবসটি উদযাপিত হয়ে থাকে। সূচনাপর্ব থেকেই আন্তর্জাতিক নারী দিবস জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের সম্মানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ছিল— ‘Digital Innovation and Technology for Gender Equality’ বা ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, লিঙ্গবৈষম্য করবে নিরসন’। মূলত তথ্যপ্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে নারীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে এই বছরের নারী দিবসের স্লোগান নির্বাচন করা হয়েছে। তথ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহার ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে নারীরা পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই এখনো বেশ খানিকটা পিছিয়ে আছে। তাই জাতিসংঘ এবার ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে লিঙ্গসমতার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে।
জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালটিকে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষ হিসেবে উদযাপন করে ও ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর ৮ মার্চ তারিখটিকে বিশ্বব্যাপী নারীদের উন্নয়ন ও জাগরণের জয়গান প্রচারের জন্য নির্দিষ্ট করে। বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বহু পূর্বেই ‘নারী’ কবিতায় বলে গেছেন, ‘জগতে যত বড় বড় জয়, বড় বড় অভিযান/ মাতা, ভগ্নী ও বধূদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান।’ লিঙ্গসমতা বা নরনারীর সমান সম্মান ও মর্যাদাই পৃথিবীতে জীবনপ্রদীপ সুষ্ঠুভাবে প্রজ্বলিত করতে পারে। সে কারণেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৩১৬ বঙ্গাব্দে রচিত পঙিক্ত ‘জীবনপ্রদীপ জ্বালি’ এ প্রবন্ধের শিরোনাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ যে ‘অন্তহীন প্রাণ’-এর কথা বলেছেন, তার জন্য প্রয়োজন নারীপুরুষের সম-অবস্থান, সর্বাগ্রগণ্যরূপে জীবনের সর্বক্ষেত্রে গ্রহণ করা। স্মৃতিতে ভেসে আসছে জাতিসংঘের সপ্তম মহাসচিব প্রয়াত কফি আনানের কথা। তিনি বলেছিলেন, ‘Gender equality is more than a goal in itself. It is a precondition for meeting the challenges of reducing poverty, promoting sustainable development and building a good governance.’ আমরা কফি আনানের বক্তব্যের প্রতিচ্ছবি দেখি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মধ্যে। তিনি সচেতনতার সঙ্গে প্রজাতন্ত্রের সব কর্মকাণ্ডে নারীদের সম্পৃক্ত করে এগিয়ে চলেছেন বিধায় দেশে লিঙ্গবৈষম্য যেমন ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে, তেমনি সমাজে পরিলক্ষিত হচ্ছে সুশাসন।
দেশে এখন এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, পেশা নেই, দপ্তর নেই, যেখানে নারীদের উপস্থিতি নেই। আমলাতন্ত্র, আইন-আদালতে আজ নারীদের জয়জয়কার। নারীদের পদচারণায় শুধু দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনই মুখরিত নয়, বড় বড় পদে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন বাংলার নারীসমাজ। দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পিকার, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা সবাই নারী। রাজনীতির মতোই বর্তমানে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রশাসনেও নারীদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো। প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ‘নির্বাহী পদে’ নারীদের অংশগ্রহণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে, বাড়ছে। বর্তমান প্রজাতন্ত্রের প্রশাসনে সচিব পদমর্যাদায় ১১ জন, অতিরিক্ত সচিব ৫৫ জন, যুগ্মসচিব ১৭৪ জন, উপসচিব ৩৭জন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে ১০ জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদে ১৭৪ জন এবং সহকারী কমিশনার পদে ১৩৩ জন নারী কর্মকর্তা দুর্বার সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। বলা বাহুল্য, উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতেও এমন চিত্র দেখা যায় না। এ কথার সঙ্গে কেউ দ্বিমত করবেন না যে, দেশে-বিদেশে নারীদের এভাবে ‘সম্মুখসারির আলোর যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে শেখ হাসিনা কেবল বাংলাদেশের আর্থসামাজিক খাতেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেননি, বাংলার নারীসমাজকে আলোর পথের অভিযাত্রী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন।
আজ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। যাদের কর্মকাণ্ড ঘরকন্নার বাইরে কল্পনাই করা যেত না, সেই নারীরা সেনাবাহিনী, পুলিশবাহিনী, বিজিপিতে ও র্যাবে চাকরি করছেন। বিমান পরিচালনা এবং রেলগাড়িও চালাচ্ছেন পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। দেশের মেগাপ্রজেক্ট মেট্রোরেলের প্রথম চালক হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন নারী। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশকে এখন বিশ্বে উদাহরণ হিসেবে দেখা হয়। সব ক্ষেত্রেই নারীর অগ্রগতির প্রশংসা করছে সারা বিশ্ব। এ সংবাদ দেশের জন্য যে কতটা মঙ্গলজনক, সচেতন ব্যক্তিমাত্রই বুঝতে পারেন।
শেখ হাসিনা প্রশাসন শিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্র ও ছাত্রীদের মধ্যে সমতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ছাত্রীদের জন্য উত্সাহপ্রদানমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছে, যার ফল এখন সর্বত্র দৃশ্যমান। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাসমূহে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এখন ফলাফলের দিক থেকে এগিয়ে আছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও দেখা যাচ্ছে, ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা অনেক বিভাগেই ভালো ফল অর্জন করছে। এ প্রসঙ্গে একটি বাস্তব চিত্রের কথা বলতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন একবার ফার্মেসি বিভাগে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদানের অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখি, অ্যাওয়ার্ড-মনোনীতদের তালিকার সবাই ছাত্রী। সেদিন পরমানন্দে ভেসেছিলাম। আজ এমনকি মফস্বলেও দেখি, স্কুলড্রেস পরিহিত ছাত্রীরা সাইকেলে চড়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। সত্যিই, বুকটা ভরে যায়। এই এগিয়ে যাওয়ার চিত্রই তো দেখতে চাই আমরা। এই চিত্র দেখার স্বপ্নেই তো বিভোর ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
আসলেই, নারীসমাজের উন্নতির প্রশ্নে আজ আমরা এগিয়ে গেছি অনেকদূর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বদাই নারীশিক্ষা, নারী-উন্নয়ন, নারীপ্রগতি ও নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করেন। কারণ, তিনি বিশ্বাস করেন, সমাজের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে হলে নারীর সঙ্গে পুরুষের বৈষম্য দূর করে লিঙ্গসমতার পথে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বাস্তবসম্মত চিন্তা। মনে পড়ে, উপাচার্য থাকাকালীন যতবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছেলেদের হলসংক্রান্ত বা এজাতীয় কাজ নিয়ে গেছি, ততবারই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ছেলেদের কাজ নিয়ে আসলে একই সঙ্গে অন্তত একটা হলেও মেয়েদের কাজ নিয়ে আসবেন।’ প্রধানমন্ত্রীর এ কথাই আপ্লুত হয়েছি প্রতিবারই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন থেকেই সর্বদা এই নীতি অনুসরণ করে চলেছেন। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন মনে করছি। বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ১৯৭২ সালের ২৬শে মার্চ সকালে বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে ঢাকা আজিমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছাত্রীদের এক ক্রীড়ানুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমরা শুধু ধর্মের নামে মিথ্যা কথা বলিয়া আমাদের মা-বোনদের এতদিন দাসী করিয়া রাখিয়াছিলাম। আজ স্বাধীন বাংলাদেশে, আপনারা বিশ্বাস করুন, ছেলেমেয়েরা সবাই সমান অধিকার পাইবে।’ সমবেত মা-বোনদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ইতিহাসে কীর্তিমান পুরুষদের নাম লেখা থাকে, কিন্তু মহিলাদের নাম লেখা থাকে না। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষদের মহিলাদের ভুলিয়া না যাওয়া উচিত।’
বঙ্গবন্ধু নারীদের অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখতেন। জন্মদাত্রী জননী, সহধর্মিণী, কন্যাদ্বয়ের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কী ধরনের আত্মিক সম্পর্ক ছিল, তার বহু দৃষ্টান্ত বঙ্গবন্ধু নিজেই লিখে গেছেন তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থদ্বয়ে। বাংলার নারীসমাজের প্রতিও তার বিরল সম্মান, শ্রদ্ধার চিত্র অঙ্কিত আছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।
পাকিস্তান সরকার তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুসহ অভিযুক্ত সবাইকে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় ১৯৬৯ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি। ‘পিতা ও দুহিতা’ শিরোনামে সেদিন গণমাধ্যম প্রতিবেদনে লিখেছিল, ‘খবরটা শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠা কন্যা হাসিনার কাছে যখন পৌঁছায় তখন সে ছিল রোকেয়া হলে। হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। শেখ মুজিবের ধানমন্ডির বাড়িতে তখন অসংখ্য মানুষের ভিড়। সে ভিড় ঠেলে এগিয়ে এলো হাসিনা। পিতাকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠল। কন্যাকে বুকে জড়িয়ে ধরে তিনি বারবার তাকে চুম্বন করতে থাকেন। স্নেহশীলা কন্যার কান্নায় শেখ মুজিবের চোখে অশ্রু নেমে আসে এবং কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে শেখ মুজিব বলেন, কেঁদে লাভ নেই মা। দেশের অনেক সন্তান মারা গেছে। অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে।
পিতা-কন্যার অসামান্য ঐশ্বর্যময় দীপ্তিতে প্রোজ্জ্বল শেখ হাসিনা প্রতিদিনই পিতার আদর্শিক দৃষ্টান্তের পথরেখাই অনুসরণ করে চলেছেন। শেখ হাসিনার ধমনিতে প্রবাহিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর রক্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যখন সভা-সমাবেশে কিংবা সম্প্রচার বা গণমাধ্যমে দেখি সব সময়ই রবীন্দ্রনাথের ‘শান্ত তোমার ছন্দ’ পঙিক্তটি মনে আসে। পঁচাত্তরের পনেরো আগস্টের অন্তহীন শূন্যতা অতিক্রম করে তিনি যে দীপ্যমান সুনেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন, তা মিশেল ওবামার একটি উক্তিকে স্মরণ করিয়ে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেলের ভাষায়, ‘There is no limit to what we, as women, can accomplish.’ আজ বিশ্বে নারী নেতৃত্বের প্রবল প্রতীক ও নারী জাগরণের অভাবনীয় প্রণোদনার উৎস বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। দেশের নারীসমাজকে তিনি যেভাবে শিখরে মেলে ধরেছেন, তাতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শুধু নয়, বছরের প্রতিটি দিনেই তার অভিবাদন ও অভিনন্দন প্রাপ্য।
তবে নারীপ্রগতি বিরোধী একটি মহলও নানাভাবে নারীর অগ্রযাত্রা প্রতিরোধে সক্রিয়, এটিও আমাদের ভুললে চলবে না। আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা যেভাবে বন্ধ করে দেওয়া হলো, তা একবিংশ শতাব্দীর আলোকিত সমাজে বাস করা মানুষের কাছে অচিন্তনীয়। এখানে পাকিস্তানি নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের প্রণিধানযোগ্য একটি উক্তি স্মরণ করা যেতে পারে। মালালার কথায়, ‘Extremists have shown what frightens them most. A girl with a book.’ জাতিসংঘের ইউএনএফপিএর এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পরিবারে অভিভাবকের শিক্ষার হার বেশি, সেসব পরিবারে বিশেষ করে নারীদের সম্মানের চোখে দেখা হয়, নারীদের শিক্ষার পথও সুগম সে সব পরিবারে। আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর প্রতি যেসব সহিংসতা-নির্যাতনের চিত্র চোখে পড়ে, তার জন্য দায়ী ‘অশিক্ষা’ ও ‘মনুষ্যত্বের শিক্ষার অভাব’। রবীন্দ্রনাথ যথার্থই বলেছেন, ‘মনুষ্যত্বের শিক্ষাই চরম শিক্ষা আর সমস্তই তার অধীন।’ অর্থাৎ, নারীদের দেখতে হবে মনুষ্যত্বের শিক্ষার চোখ দিয়ে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাম্য, সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িক বাংলা প্রতিষ্ঠা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হলে নারীর সম্মান ও লিঙ্গসমতা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।