নিউজিল্যান্ডকে ২০ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরের সেমিফাইনালে খেলার আশা টিকিয়ে রাখল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। অন্যদিকে ২ ম্যাচে জিতে কিছুটা নির্ভার নিউজিল্যান্ডের জন্যও জয় পাওয়াটা কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। মঙ্গলবার এমন ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ ওয়ানের সেমির সমীকরণ আরও জটিল করে তুললো ইংল্যান্ড।
৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বর পজিশন থেকে শীর্ষ দুইয়ে উঠে গেল ইংলিশরা। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে এক ও তিনে রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। চার ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সেমির আশা দেখছে শ্রীলংকাও।
ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ২০ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন বাটলার।টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিংয়েই বাজিমাত করেছে ইংলিশরা। ৬১ বলে ৮১ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দেন জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। ৪০ বলে ৫২ রান করে হেলস আউট হলে ভাঙে সে জুটি।
তিন নম্বরে নেমে মইন আলী অবশ্য তেমন কিছুই করতে পারেননি। ৬ বলে ৫ রান করে আউট হয়েছেন ইশ সোধির বলে। ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি লিয়াম লিভিংস্টোন। আউট হয়েছেন ১৪ বলে ২০ রান করে।
এক প্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়লেও রানের চাকা এগিয়ে নিচ্ছিলেন বাটলার। ৪৭ বলে ৭৩ রান করে অধিনায়ক ফেরেন ১৯ তম ওভারে রান আউট হয়ে। ১৭৯ রানে থামে ইংলিশদের প্রথম ইনিংস।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা একদমই ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। দলীয় ৮ রানে ডেভন কনওয়ের উইকেট হারানোর পর ২০ রানের ব্যবধানে ফিন অ্যালেনকেও হারায় কিউইরা। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ব্ল্যাকক্যাপসদের রান আসে ৩৫।
তৃতীয় উইকেটে ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে খেলার মোড়। এ উইকেটে গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে ৯১ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। রানের গতিটাও বেড়েছে ধীরে ধীরে। ১০ ওভারে ৬৬ রান করা দলটির ১৫ ওভারে এসে সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৩।
একপেশে হতে যাওয়া ম্যাচটা যখন জমিয়েই ফেলছিলেন উইলিয়ামসন-ফিলিপস, তখনই বাগড়া দেন বেন স্টোকস। ৪০ রানে উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে আবারও ইংল্যান্ডক এগিয়ে দেন বাঁহাতি এ বোলার।
পরের দুই ওভারে আরও ২ উইকেট হারিয়ে শেষদিকে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় নিউজিল্যান্ড। শেষ ওভারে জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিল ২৬ রান। কিন্তু ৫ রানের বেশি নিতে পারেননি মিচেল স্যান্টনার ও ইশ সোধি।