অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষে পর্দা উঠেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের। উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামে গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কিউই অধিনায়ক টম লাথাম। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান সংগ্রহ করেছে ইংল্যান্ড।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার ডেভিড মালান এবং জনি বেয়ারস্টো। তবে দুই জনের জুটি বেশি বড় করতে দেননি নিউজিল্যান্ড বোলাররা। দলীয় ৪০ রানে ২৪ বলে ১৪ রানে আউট হন ডেভিড মালান।
এরপর ক্রিজে আসেন জো রুট। তাকে নিয়ে ধীরস্থির ভাবে খেলতে থাকেন জনি বেয়ারস্টো। তবে তিনি দলীয় ৬৪ রানে ৩৫ বলে ৩৩ রানে স্যান্টানারের বলে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন হ্যারি ব্রুকস। ভালো শুরুর আভাস দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। দলীয় ৯৪ রানে ১৬ বলে ২৫ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর ক্রিজে আসেন মঈন আলি। তবে তিনিও সুবিধা করতে পারেননি। দলীয় ১১৮ রানে ১৭ বলে ১১ রানে আউট হন মঈন। এরপর ক্রিজে আসেন জস বাটলার। তাকে নিয়ে ৭০ রানের জুটি করেন রুট। সাবলীল ব্যাটিংয়ে রুট অর্ধশত পূরণ করলেও ব্যর্থ হন জস বাটলার। দলীয় ১৮৮ রানে ৪২ বলে ৪৩ রানে আউট হন ইংলিশ অধিনায়ক।
এরপর ক্রিজে আসেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ভাল শুরুর আভাস দিলেও ইনিং বড় করতে পারেন তিনি। দলীয় ২২১ রানে ২২ বলে ২০ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন স্যাম কারান।
দলীয় ২২৯ রানে এক প্রান্ত আগলে রাখা জো রুট কাটা পড়েন গ্লেন ফিলিপসের বলে। ৮৬ বলে ৭৭ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন ক্রিস ওকস। তিনিও সুবিধা করতে পারেননি। দলীয় ২৫০ রানে ১২ বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি।
তার বিদায়ের পর পরই সাজঘরে ফিরে যান স্যাম কারান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ম্যাট হেনরি নেন সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট। এছাড়া মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস নেন ২টি করে উইকেট।