পাবনার সাঁথিয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর ও সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১১ মে, ২০২৫ ) বিকেলে সাঁথিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতে ইসলামী সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলা শাখার আয়োজনে ও নিজামীপুত্র ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম হোসেন,পাবনা জেলা আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, সাবেক জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য মাওলানা আব্দুর রহিম, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী, প্রয়াত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইমাম ওয়াফি, আলী আহসান মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর, আব্দুল কাদের মোল্লার ছেলে হাসান জামিল, মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম আরমান, কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য ডা. আব্দুল বাসেত খান প্রমুখ।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, যারাই ফ্যাসিবাদের সঙ্গে দস্তি পাকাবেন, বন্ধুত্ব করবেন, যেকোনো কিছুই করবেন না কেন আপনাদেরকেও একই কাতারে দেখবে বাংলাদেশের মানুষ। বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো ফ্যাসিবাদী কায়েম হতে দেবে না। আমরা আর কোনো ফ্যাসিস্ট প্রতিষ্ঠিত হতে দেব না। তিনি আরও বলেন, অনেকেই যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। বাংলাদেশে আর কোন ভোট ডাকাতী হতে দেয়া হবে না। যেনতেন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। অন্তবর্তী সরকারকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে হবে। তার আগে সকল গণহত্যার বিচার করতে হবে। সকল গণহত্যাকারীদেরকে ফাঁসির মঞ্চে ঝোলাতে হবে। যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, শহীদ করা হয়েছে, এই সকল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল কর্মকর্তা, স্বাক্ষী, বিচারপতিদের বিচার করতে হবে।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৬ সালের ১১ মে বুধবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।