বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণের লিভ টু আপিল গ্রহণ করেছেন আদালত। এখন থেকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণের দায়িত্ব পালনে আর কোনো বাধা নেই। তবে জায়েদ খান বললেন, চূড়ান্ত বিজয় আমারই হবে।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত হওয়ার পর নিপুণ বললেন, দীর্ঘ নয় মাস ধরে আমি ধৈর্য্য ধরে আছি। অপেক্ষায় আছি। সত্যের পক্ষে রায় আসার। অবশেষে সত্যের জয় হল।
তবে এই রায়ে সন্তুষ্ট নন জায়েদ খান। সোমবার দুপুরে জায়েদ বলেন, ‘আদালত নিপুণের লিভ টু আপিল গ্রহণ করেছেন। এখন শুনানি হবে। আমি শুনানির প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি শুনানিতে রায় আমার পক্ষে আসবে কারণ আমি ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক।
চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন প্রাথমিক ফলাফলে জায়েদকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ। আপিল বোর্ড সমাজসেবা অধিদপ্তরে চিঠি পাঠায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তর এক চিঠিতে জানায়, আপিল বোর্ড এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ড জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণের লিভ টু আপিল গ্রহণ করেছেন আদালত।