জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক থেকে বেরিয়ে গেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভ। এর আগে পরিষদে নিজের ভাষণে ইউক্রেন ও তার মিত্ররা ‘রুশ আগ্রাসন সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভিন্ন বর্ণনা চাপিয়ে দেওয়ার’ চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রায় ৯০ মিনিট দেরি করে প্রবেশ করেন ল্যাভরভ। দৃশ্যত নিজের বক্তব্য শেষ করেই দ্রুত সেখান থেকে চলে যাওয়ার পথ বেছে নেন তিনি।
ল্যাভরভের পর নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি। তিনি বলেন, তাঁর দেশ ইউক্রেনকে সর্বাত্মকভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে। যতদিন সময় লাগে ততদিন পর্যন্ত এই সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
ক্লেভারলি বলেন, রাশিয়া ‘নিষেধাজ্ঞা আরোপকারীদের ওপর দোষ চাপানোর’ চেষ্টা করেছে এবং ‘প্রতিদিন রাশিয়ার আক্রমণের বিধ্বংসী পরিণতি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক থেকে ল্যাভরভের বেরিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তিনি অবাক হননি। তিনি বলেন, আমি মনে করি না মিস্টার ল্যাভরভ এই কাউন্সিলের সম্মিলিত নিন্দা শুনতে চান।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, যে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমরা এখানে জড়ো হয়েছি তা আমাদের চোখের সামনে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ চার্টার, সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শনের অভিযোগ করেন।
এদিকে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে একীভূত করতে কথিত গণভোটের বিষয়ে রাশিয়াকে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টির অবতারণা করেন তিনি। পারমাণবিক সংঘাত নিয়ে আলোচনাকেও একেবারেই অগ্রহণযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
শুক্রবার থেকে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের ডনেস্ক, লুহানস্ক, খেরসন, জাপোরিজ্জিয়া ও মাইকোলাইভের একাংশে গণভোট আয়োজন করবে মস্কোপন্থীরা। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফল রাশিয়ার পক্ষে যাবে। এতে কোনও স্বাধীন পর্যবেক্ষক থাকবে না। পশ্চিমা দেশগুলো ও ইউক্রেন এই গণভোটকে লজ্জা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।