নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধা দিলে তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)- এই বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে আজ রবিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ক্যামেরাই আমাদের চোখ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অনিয়ম, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া নেওয়ার। এজন্য ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে ২৬৫টি ভোটকক্ষের ৩৬৫টি সিসি ক্যামেরা রেখেছি। কন্ট্রল রুম আমাদের ইসিতেই আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ম ধরা পড়েছে, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। জোর পূর্বক একজনের ভোট আরেকজনকে দিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা হয়েছে। আমরা বিষয়টি শনাক্ত করেছি এবং মাঠ প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতিা নিশ্চিত হওয়ার ছাড়াও যারা সন্ত্রাসী, জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে, তারা এ ব্যবস্থায় ভয়ের মধ্যে থাকে। আজকের (রবিবার) ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচনে ১১টা বুথে এই ধরণের ঘটনা ঘঠেছে। আমরা অনিয়মে জড়িতদের সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় এনেছি।
তিনি আরো বলেন, সংসদ নির্বাচনেও সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেওয়ার আন্তরিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা আমাদের থাকবে। তবে এটার সঙ্গে আর্থিক ও ট্যাকনিক্যাল সাপোর্টের বিষয় আছে। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট নেই। তারপরও আমাদের ইচ্ছা আছে।
আহসান হাবিব খানব আরো বলেন, বাজেট বরাদ্দের ঘাটতি থাকলে ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা দেব। সংসদ নির্বাচনের আগে যত নির্বাচন হবে সবগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করব এবং সিসি ক্যামেরা থাকবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজনীতা বাড়ছে। এটা লাক্সারি নয়, এটা এখন প্রয়োজন।
অনেকে বলছেন ইভিএম ব্যবহার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আস্থার সংকট বেড়েছে- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আস্থা বিশ্বাস হচ্ছে নিজস্ব ব্যাপার। আমরা ওপর আমার বিশ্বাস আছে। কিন্তু আপনার কি আছে? আস্থা ফেরানো চেষ্টা শেষ পর্যন্ত আমরা করব। আমাদের নিজের ওপর শতভাগ আত্ববিশ্বাস ও আস্থা আছে।