বাংলাদেশ কোনো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লে পণ্য না নেওয়া কিংবা অর্থ পরিশোধ না করার শর্ত যুক্ত করে তৈরি পোশাকের ঋণপত্র দিয়েছে একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। যদি পণ্য জাহাজিকরণের পরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো ঘটনা ঘটে, তাহলেও অর্থ দেবে না ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। তবে কোনো ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এমন শর্ত দিয়েছে, কিংবা কোন পোশাক কারখানাকে এমন শর্ত দেওয়া হয়েছে, সেটি প্রকাশ করা হয়নি।
গতকাল বুধবার তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ বিষয়ে বলেন, বিজিএমইএর এক সদস্য তৈরি পোশাক কারখানায় এ ধরনের একটি চিঠি আমাদের নজরে এসেছে। যেখানে একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তার এলসি খোলার শর্তে উল্লেখ করেছে, জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য দ্বারা নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত কোনো দেশ বা অঞ্চলের সঙ্গে আমরা লেনদেন করব না। এজন্য বিলম্ব লেনদেনে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান দায়ী হবে না। সেই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা-সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করতেও ঐ প্রতিষ্ঠান বাধ্য থাকবে না।
ফারুক হাসান বলেন, এটি একটি নির্দিষ্ট ক্রেতা প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করেছে, কোন দেশের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়নি। কোনো স্বতন্ত্র ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নীতি থাকতে পারে। শুধু এলসির শর্তে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এটি নিষেধাজ্ঞা-সংক্রান্ত কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নয়। তাছাড়া বিজিএমইএ বিদেশি কোনো বাণিজ্যিক মিশন বা কূটনৈতিক সূত্র বা সরকারি সূত্র থেকে এ ধরনের কোনো বার্তা পায়নি।
তবে নিষেধাজ্ঞা এলে ক্রেতারা পণ্য নেবে না—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। চট্টগ্রামে বিজিএমইএ কার্যালয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পোশাকশিল্পের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা এলে ক্রেতারা পণ্য নেবে না। তিনি বলেন, ক্রেতারা টাকা তো দেবেই না, পণ্যও নেবে না। ব্যাংকগুলো এলসি খুলবে না।
ফারুক হাসান বলেন, একদিকে নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রমনীতি, সব মিলিয়ে সময়টা কঠিন। টিকে থাকা কঠিন হচ্ছে। ঐ বৈঠকে তিনি পোশাক রপ্তানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে একটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের ক্রেতা শর্ত দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তবে কোন প্রতিষ্ঠানকে বিদেশি কোন ক্রেতা শর্ত দিয়েছে তা তিনি উল্লেখ করেননি। গতকাল বুধবার তিনি এক স্পষ্টিকরণ তথ্যে বলেন, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমনীতি বিশ্বের সব দেশের জন্যই প্রযোজ্য, সেহেতু অন্য দেশে ক্রয়াদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রেও একই ধরনের শর্ত হয়তো দিচ্ছে বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। এলসির জন্য এ ধরনের শর্ত যদি শুধু বাংলাদেশের জন্য হয়, সেক্ষেত্রে আমরা বিষয়টি সমর্থন করি না। এটি নীতিমালা লঙ্ঘন। এরকম পরিস্থিতিতে আমরা সব সদস্য কারখানাগুলোকে বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নিতে বলেছি। ক্রেতা প্রতিষ্ঠানটিকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতেও আহ্বান জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র গত ১৬ নভেম্বর বিশ্ব জুড়ে শ্রম অধিকার সুরক্ষায় নতুন নীতি ঘোষণা করে। আনুষ্ঠানিকভাবে এ নীতি প্রকাশকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, যারা শ্রমিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে যাবে, শ্রমিকদের হুমকি দেবে, ভয় দেখাবে, তাদের ওপর প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির বিষয়ে গত ২০ নভেম্বর ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে শঙ্কা প্রকাশ করে বাণিজ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। ঐ চিঠিতে বলা হয়, শ্রম অধিকারবিষয়ক নতুন এ নীতির লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বাংলাদেশ। কারণ, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে এই নীতি ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রের ওপর আরোপের সুযোগ রয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের এক-পঞ্চমাংশ রপ্তানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, যার আর্থিক মূল্য ৪৭ বিলিয়ন ডলার। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রভাব রয়েছে। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে শ্রম ও মানবাধিকার নিয়ে একই ধরনের উদ্বেগ দেখানো হয়েছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ৫০ ভাগই হয়েছে ইইউ এবং যুক্তরাজ্যে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র খুলতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য সরকারের ওপর মহলে কথা বলবেন বলে জানান বিজিএমইএর সভাপতি।
বাংলাদেশ কোনো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লে পণ্য না নেওয়া কিংবা অর্থ পরিশোধ না করার শর্ত যুক্ত করে তৈরি পোশাকের ঋণপত্র দিয়েছে একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। যদি পণ্য জাহাজিকরণের পরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো ঘটনা ঘটে, তাহলেও অর্থ দেবে না ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। তবে কোনো ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এমন শর্ত দিয়েছে, কিংবা কোন পোশাক কারখানাকে এমন শর্ত দেওয়া হয়েছে, সেটি প্রকাশ করা হয়নি।
গতকাল বুধবার তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ বিষয়ে বলেন, বিজিএমইএর এক সদস্য তৈরি পোশাক কারখানায় এ ধরনের একটি চিঠি আমাদের নজরে এসেছে। যেখানে একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তার এলসি খোলার শর্তে উল্লেখ করেছে, জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য দ্বারা নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত কোনো দেশ বা অঞ্চলের সঙ্গে আমরা লেনদেন করব না। এজন্য বিলম্ব লেনদেনে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান দায়ী হবে না। সেই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা-সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করতেও ঐ প্রতিষ্ঠান বাধ্য থাকবে না।
ফারুক হাসান বলেন, এটি একটি নির্দিষ্ট ক্রেতা প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করেছে, কোন দেশের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়নি। কোনো স্বতন্ত্র ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নীতি থাকতে পারে। শুধু এলসির শর্তে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এটি নিষেধাজ্ঞা-সংক্রান্ত কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নয়। তাছাড়া বিজিএমইএ বিদেশি কোনো বাণিজ্যিক মিশন বা কূটনৈতিক সূত্র বা সরকারি সূত্র থেকে এ ধরনের কোনো বার্তা পায়নি।
তবে নিষেধাজ্ঞা এলে ক্রেতারা পণ্য নেবে না—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। চট্টগ্রামে বিজিএমইএ কার্যালয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পোশাকশিল্পের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা এলে ক্রেতারা পণ্য নেবে না। তিনি বলেন, ক্রেতারা টাকা তো দেবেই না, পণ্যও নেবে না। ব্যাংকগুলো এলসি খুলবে না।
ফারুক হাসান বলেন, একদিকে নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রমনীতি, সব মিলিয়ে সময়টা কঠিন। টিকে থাকা কঠিন হচ্ছে। ঐ বৈঠকে তিনি পোশাক রপ্তানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে একটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের ক্রেতা শর্ত দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তবে কোন প্রতিষ্ঠানকে বিদেশি কোন ক্রেতা শর্ত দিয়েছে তা তিনি উল্লেখ করেননি। গতকাল বুধবার তিনি এক স্পষ্টিকরণ তথ্যে বলেন, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমনীতি বিশ্বের সব দেশের জন্যই প্রযোজ্য, সেহেতু অন্য দেশে ক্রয়াদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রেও একই ধরনের শর্ত হয়তো দিচ্ছে বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। এলসির জন্য এ ধরনের শর্ত যদি শুধু বাংলাদেশের জন্য হয়, সেক্ষেত্রে আমরা বিষয়টি সমর্থন করি না। এটি নীতিমালা লঙ্ঘন। এরকম পরিস্থিতিতে আমরা সব সদস্য কারখানাগুলোকে বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নিতে বলেছি। ক্রেতা প্রতিষ্ঠানটিকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতেও আহ্বান জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র গত ১৬ নভেম্বর বিশ্ব জুড়ে শ্রম অধিকার সুরক্ষায় নতুন নীতি ঘোষণা করে। আনুষ্ঠানিকভাবে এ নীতি প্রকাশকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, যারা শ্রমিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে যাবে, শ্রমিকদের হুমকি দেবে, ভয় দেখাবে, তাদের ওপর প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির বিষয়ে গত ২০ নভেম্বর ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে শঙ্কা প্রকাশ করে বাণিজ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। ঐ চিঠিতে বলা হয়, শ্রম অধিকারবিষয়ক নতুন এ নীতির লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বাংলাদেশ। কারণ, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে এই নীতি ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রের ওপর আরোপের সুযোগ রয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের এক-পঞ্চমাংশ রপ্তানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, যার আর্থিক মূল্য ৪৭ বিলিয়ন ডলার। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রভাব রয়েছে। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে শ্রম ও মানবাধিকার নিয়ে একই ধরনের উদ্বেগ দেখানো হয়েছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ৫০ ভাগই হয়েছে ইইউ এবং যুক্তরাজ্যে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র খুলতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য সরকারের ওপর মহলে কথা বলবেন বলে জানান বিজিএমইএর সভাপতি।