ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে কেন্দ্র করে বর্ণবাদ বিরোধী লড়াই এখন তুঙ্গে। বিশেষ করে ভিনিসিয়ুসের দেশ ব্রাজিল তো বর্ণবাদ নামের কালো বিষ ধুয়েমুছে পরিষ্কার করতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে। স্পেনে ক্রমাগত বর্ণবাদের শিকার হয়ে চলা ভিনিসিয়ুসের জন্যই এই লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছে ব্রাজিল। মজার ব্যাপার হলো, আগামী মাসে নিজেদের দুটি প্রীতি ম্যাচকেও বর্ণবাদ বিরোধী লড়াইয়ের অংশ বানিয়ে নিয়েছে ব্রাজিল!
ঘটনা সত্যিই। আগামী জুনে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। সেই দুটি প্রীতির ম্যাচের প্রতিপক্ষ হিসেবে আফ্রিকার দুটি দেশকে বেছে নিয়েছে ব্রাজিল। পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ম্যাচ দুটি খেলবে গিনি ও সেনেগালের বিপক্ষে। গিনির বিপক্ষে ম্যাচটি খেলবে ১৭ জুন। সেনেগালের বিপক্ষে মাচটি হবে এর তিন দিন পর মানে ২০ জুন। গায়ের রঙ কালো বলেই স্পেনে বারবার বর্ণবাদের শিকার হচ্ছেন ভিনিসিয়ুস। ব্রাজিল তাই প্রতিবাদস্বরূপ প্রতিপক্ষ হিসেবে কালো মানুষদের দেশকেই বেছে নিয়েছে। প্রতিবাদী সিদ্ধান্তের এখানেই শেষ নয়। ভিনিসিয়ুস বর্ণবাদের শিকার হচ্ছেন যেখানে, ১৭ জুন গিনির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটি ব্রাজিল খেলবে সেই স্পেনেরই বার্সেলোনায়! ২০ জুন সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দেশ পর্তুগালের লিসবনে।
প্রীতি ম্যাচ দুটির জন্য ২৩ সদস্যের যে দল ঘোষণা করেছেন ব্রাজিলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ র্যামন মেনেজেস, তাতেও রয়েছে বড় চমক। চমকটা নতুনের। মেনেজেসের ঘোষিত দলে নতুনের ছড়াছড়ি। চোটের কারণে দলে নেই নেইমার। তার সঙ্গে মেনেজেসের দলে ঠাঁই পাননি গ্যাব্রিয়েল জেসুস, অ্যান্তোনি ও রাফিনহাও।
গ্যাব্রিয়েল জেসুস। তাদের পরিবর্তে মেনেজেস দলে ডেকেছেন নবাগত ৫ জনকে। প্রথম বারের মতো জাতীয় দলে ডাক সেই ৫ সৌভাগ্যবান তরুণ হলেন—ভ্যান্ডারসন, নিনো, আইরটন লুকাস , জোয়েলিনটন ও ম্যালকম। ইংলিশ ক্লাব নিউক্যাসলের হয়ে অসাধারণ একটা মৌসুম কাটিয়েছেন ব্রাজিলের দুই তরুণ মিডফিল্ডার জোয়েলিনটন ও ব্রুনো গিমারেজ। মেনেজেস দুজনকেই তার পুরস্কার দিয়েছেন দলে ডেকে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ দলের মোট ১৪ জন রয়েছেন এই দলে। ব্রাজিলের ক্লাবে খেলা মোট ৭ জন আছেন দলে। বাকি ১৬ জনই খেলেন ইউরোপে। নেইমার, জেসুস, অ্যান্তোনি, রাফিনহাদের অনুপস্থিতিতে ব্রাজিলের আক্রমণভাগে নেতৃত্ব দেবেন রিয়াল মাদ্রিদের দুই ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো।