সরকারবিরোধী আন্দোলনের নতুন বার্তা দিতে ঢাকায় আজ বুধবার সমাবেশ করবে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ সমাবেশ শুরু হবে।
সমাবেশ থেকে একদফা আন্দোলনের ঘোষণা দেবে দলটি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার দলের পক্ষে এ এক দফার যৌথ ঘোষণা উপস্থাপন করবেন।
সকাল থেকেই নয়াপল্টনসহ আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন, রাস্তায় মিছিল করছেন। স্লোগানে মুখর হয়ে উঠছে সমাবেস্থল। কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে ৬টি ট্রাক একত্র করে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। সেখানে নেতাকর্মীরা রয়েছেন। চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অপরদিকে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক জোট ও দলগুলোও পৃথক মঞ্চ থেকে একই ঘোষণা দেবে, যাকে তারা ‘যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণআন্দোলনের একদফার যৌথ ঘোষণা’ বলে অভিহিত করছে। সরকারবিরোধী এই পক্ষটি রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা রূপরেখাও তুলে ধরবে। এর পাশাপাশি তারা সরকারবিরোধী নতুন পর্যায়ের যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচিও ঘোষণা করবে।
এ ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বুধবারের সমাবেশ থেকে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দল যার যার অবস্থান থেকে একদফার আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।’
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চলমান আন্দোলন যে পর্যায়ে এসেছে, এখন জাতির সামনে একটি বার্তা দেওয়ার সময় এসেছে। বুধবার আমরা সেই বার্তাটাই দেব।’
বিএনপি ও তার মিত্ররা সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে। পরে আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে শরিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের নানা দফাকে সমন্বয় করে এক দফায় নিয়ে আসা হয়। বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা আলাদা আলাদা মঞ্চ থেকে আজ এই এক দফার যৌথ ঘোষণা দেবে।
এক দফার ঘোষণাটি হলো- ‘বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে তার অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা; বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েসি সাজা বাতিল এবং সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ১ দফা দাবিতে রাজপথে সক্রিয় বিরোধী রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলা ও সফল করার ঘোষণা প্রদান করছে।’
