নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনবে বাংলাদেশ। প্রাথমিকভাবে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে। এই বিদ্যুৎ ভারত হয়ে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা দিয়ে দেশে আসবে। এ জন্য দিল্লির সঙ্গে ঢাকা ও কাঠমানডুর ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করতে হবে। এ-সংক্রান্ত সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ও নেপাল যৌথভাবে ভারতকে অনুরোধ করতে রাজি হয়েছে।
গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) ও জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির (জেএসসি) চতুর্থ বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে কাঠমান্ডু পোস্টের এক সংবাদে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমানের নেতেৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নিতে নেপালে অবস্থান করছেন। নেপালের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচবিষয়ক সচিব সুশিল চন্দ্র তেওয়ারি।
বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত জেডব্লিউজি ও জেএসসি ২০১৮ সালে গঠিত হয়। দ্বিতীয় সভা ২০১৯ সালের ২০ জুন কপবাজারে অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় বৈঠক গত বছরের সেসূত্র জানায়, ঋতু ভেদে বিদ্যুৎ চাহিদার তারতম্যের আলোকে পারস্পরিক বিদ্যুৎ বাণিজ্য, আন্তঃদেশীয় বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জয়েন্ট টেকনিক্যাল টিম (জেনারেশন) ও জয়েন্ট টেকনিক্যাল টিমের (ট্রান্সমিশন) কাজের অগ্রগতি নিয়ে চতুর্থ বৈঠকে আলোচনা হয়। নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন নির্মাণে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার বিষয়ে কমিটি একমত হয়েছে।প্টেম্বরে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, নেপালে ভারতের জিএমআর গ্রুপের নির্মিত ৯০০ মেগাওয়াটের আপার কার্নালি জল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে চায় বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে জিএমআরের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) সই করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। চলতি সেপ্টেম্বরে এই কেন্দ্র চালুর কথা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেখান থেকে ৫০ মেগওয়াট বিদ্যুৎ আসবে বাংলাদেশে। বৃহস্পতিবার জিএসসির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পিডিবি ও নেপাল ইলেকট্রিসিটি কর্তৃপক্ষ ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশনকে (এনটিপিসি) বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির জন্য আমন্ত্রণ জানাবে।
জেএসসির বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ৬৮৩ মেগাওয়াটের সানকোশি-৩ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব-সংক্রান্ত প্রতিবেদন ঢাকার কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই প্রকল্প বাংলাদেশ-নেপাল যৌথভাবে নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।