চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১১টি হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও ৩টি বেকারিকে ৪৬ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ও সন্ধ্যায় মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুর রহমান উপজেলার বড়তাকিয়া, আবুতোরাব ও পূর্ব মায়ানী এলাকায় ও রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএমএন জামিউল হিকমা বারইয়ারহাট বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার ও হোটেল রেস্তোরা আইনে এই অর্থদন্ড দিয়েছেন।
রেস্টুরেন্টে খাদ্যের মূল্য তালিকা, যথাযথ অনুমোদন, লাইসেন্স না থাকা, রাত ৮টার পর বিদ্যুৎ অপচয় করে হোটেল খোলা রাখা, নোংরা পরিবেশের কারণে ৩১ হাজার ৫শ টাকা এবং বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স, কোন ধরনের অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ৩টি বেকারিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
হোটেল ও বেকারিগুলো হলো, বারইয়ারহাট হোটেল শেরাটনকে ২০ হাজার টাকা, ধানসিঁড়ি রেস্তোরাঁকে ২ হাজার, মিরসরাই ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন মক্কা হোটেলের মালিক মো. শহীদুল আলমকে এক হাজার টাকা, বড়তাকিয়া বাজারের সূর্য বণিক মিষ্টি ভান্ডার, হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক বিপ্লব বণিককে এক হাজার, মক্কা হোটেলের মালিক মহরম আলী শিপনকে এক হাজার, তাজমহল রেস্তোরাঁ অ্যান্ড বিরিয়ানি হাউজকে এক হাজার, জমজম হোটেলের মালিক মফিজ উদ্দি রিপনকে এক হাজার, আবুতোরাব বাজারের বারবিকিউ রেস্টুরেন্টের মালিক আহসান উদ্দিন সুমনকে এক হাজার, নিউ মদিনা হোটেলের মালিক মোহাম্মদ সোহাগকে দুই হাজার, রয়েল ব্রাইট রেস্টুরেন্টের মালিক রফিকুল ইসলামকে ৫শ টাকা ও ইরানী কাবাব-এর মালিক আমজাদ হোসেনকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া আবুতোরাব বাজারের নিউ শহিদ বেকারির মালিক শওকত আলীকে ৫ হাজার টাকা, গনি বেকারির মালিক আবুল বশরকে ৫ হাজার টাকা ও পূর্ব মায়ানী রাবালিপোল এলাকার ইসপা বেকারিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মক্কা হোটেলের বাথরুম ও রান্নাঘর একসাথে থাকায় তাদের এক হাজার টাকা জরিমানা এবং দুটি আলাদা কক্ষ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুর রহমান বলেন, হোটেল-রেস্টুরেন্ট বেকারিগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। একটাতেও কোন ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, অনুমোদনপত্র, বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স নেই। আমি অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে অবাক হয়েছি, এতো নোংরা পরিবেশে খাদ্য তৈরি করে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ৯টি হোটেল, ৩টি বেকারিকে ভোক্তা অধিকার ও হোটেল রেস্তোরাঁ আইনে ৪৬ হাজার ৫শ টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের সতর্ক করা হয়েছে এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তারা যদি নির্দেশনা না মানে তাহলে পরবর্তি সময়ে এসে এগুলো সিলগালা করে দেওয়া হবে।