র্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সহকারী পরিচালক মেজর মো. মশিউর রহমান বলেছেন, আমরা আলামতগুলো খতিয়ে দেখেছি, এখানে কোনো নাশকতামূলক কিছু ঘটেছে কিনা। আমরা এমন কিছুই পাইনি। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি ব্যাগে থাকা বডি স্প্রে থেকে মডেল মসজিদের কক্ষে বিস্ফোরণ হয়েছে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মডেল মসজিদের বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন শেষে বুধবার (২২ মার্চ) রাতে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর মো. মশিউর রহমান বলেন, বোম ডিসপোজাল টিম, ফরেনসিক টিম ও গোয়েন্দা টিম আমরা একযোগে কাজ করছি। এক্সপ্রোসিভ ডিটেকশনের জন্য অত্যাধুনিক এক্সপ্রোসিভ পোর্টেবল ট্রেস এবং ভ্যাপার ট্রেসের জন্য ভ্যাপার ডিটেকশন আমরা ব্যবহার করেছি। আমাদের কাছে অত্যাধুনিক ফিঙ্গার প্রিন্ট ক্যাপচারিং এবং স্ক্যানিং সিস্টেম রয়েছে। আপাতত দৃষ্টিতে এমন কোনো কিছুই আমরা পাইনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেছেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদের দায়িত্বে থাকা ফিল্ড সুপারভাইজার আবদুল হালিমমের ব্যাগ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে, আটক করা হয়নি। র্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের রিপোর্ট এখনও পাইনি। রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বেগমগঞ্জের আলীপুরে উপজেলা মডেল মসজিদের দ্বিতীয় তলায় আকস্মিক এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মুয়াজ্জিন ও খাদেমের থাকার কক্ষে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে করে কক্ষের দুইটি করে দরজা, জানালা, মেজে ও ওপরের সিলিংয়ের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কক্ষে আগুন ধরে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।