পঞ্চগড়ে যারা নৌকার বিপক্ষে কাজ করবেন ৭ জানুয়ারির পর তাদের পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন মো. নুরুজ্জামান নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের কাজীরহাট বাজারে পঞ্চগড়-১ আসনের নৌকার প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়ার নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনের সময় তিনি এমন হুমকি দেন। ইতিমধ্যে ওই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এর আগে ২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূইয়ার এক সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন করলে হাড়হাড্ডি ভেঙে দিতে কর্মী-সমর্থদের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূইয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
মো. নুরুজ্জামান পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।
ভিডিওতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ইঙ্গিত করে ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামানকে বলতে শোনা যায়, ‘যারা নৌকাকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন চলেছে, এখন নৌকার বিরোধিতা করে, এদের চিহ্নিত করে রাখবেন। ৭ তারিখের পর এই সব লোককে নৌকার আশপাশে দেখলে প্রয়োজনবোধে তাদের ঠ্যাংগুলা (পাগুলো) ভেঙে দেওয়া হবে। এদের খন্দকার মোশতাক বলা হয়।’
নুরুজ্জামান আরও বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নৌকা প্রতীকে সিল দিয়ে নাঈমুজ্জামান মুক্তাকে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে আমরা বিজয়ী করতে চাই। আপনারা সবাই সজাগ থাকবেন। গণ্ডগোল করার কোনো দরকার নাই। আজকে আমাদের নৌকা মার্কার যে ভোটগুলা আছে, এই ভোটগুলাই যথেষ্ট। সকাল সকাল মা-বোনদের পাঠিয়ে দেবেন ভোটকেন্দ্রে।
পঞ্চগড়ের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, অনুসন্ধান কমিটি বিষয়টি দেখছে। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।