রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ন্যাটো সামরিক জোটের পরমাণু শক্তির অধিকারী নয় এমন দেশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে যা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বা এনপিটির লঙ্ঘন এবং এর মাধ্যমে পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। একই সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি জাতিসংঘের উদ্যোগে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ পর্যালোচনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রাশিয়ার প্রতিনিধিদল মূলত এই বার্তা তুলে ধরেছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ-পরিচালক ইগর ভিশনেভেটস্কি বলেন, ন্যাটো জোট প্রকাশ্যে নিজেকে একটি পরমাণু জোট বলে ঘোষণা দিয়েছে। জোটের প্রধান সদস্য আমেরিকা পরমাণু অস্ত্র নেই এমন দেশগুলোতে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করছে।
রাশিয়ার এ কর্মকর্তা আরো বলেন, এনপিটির এক এবং দুই নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে পরমাণু অস্ত্রের বাস্তব পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এই ধরনের তৎপরতা শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ও ইউরোপীয় নিরাপত্তার উপর উল্লেখযোগ্যভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বরং এটি পরমাণু সংঘাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, মস্কোর অবস্থান হচ্ছে মার্কিন পরমাণু অস্ত্রগুলো অবশ্যই তার নিজস্ব ভূখণ্ডের ভেতরে সরিয়ে দিতে হবে, পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের জন্য ইউরোপে যেসব অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে তা ধ্বংস করতে হবে এবং নাটোর যৌথ পরমাণু মিশন বাতিল করতে হবে।
মার্কিন বিমান বাহিনী বর্তমানে ইতালি, জার্মানি, তুরস্ক, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডের ন্যাটো ঘাঁটিতে ১৫০টি পরমাণু বোমা মোতায়েন করে রেখেছে।