দেশবাসীর স্বপ্নের সেতুতে চড়ে পদ্মা পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে। আগামীকাল উদ্বোধন হচ্ছে দেশের ইতিহাসের অন্যতম মেগা প্রজেক্ট পদ্মা সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের এ সেতুর উদ্বোধন করবেন, যার মধ্য দিয়ে লাঘব হবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের আজন্ম কষ্ট। ঢাকার সঙ্গে পুরো দক্ষিণবঙ্গের সরাসরি এ যোগাযোগব্যবস্থা পুরো অঞ্চলের অর্থনীতিতে বিপ্লব সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উদ্বোধনের পরদিন রবিবার (২৬ জুন) ভোরে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বহুল প্রত্যাশিত এ সেতু। এদিন থেকে সরকার নির্ধারিত টোল দিয়ে সেতুতে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। টোল আদায়ে সেতু এলাকায় বসছে আধুনিক ইলেকট্রনিকস টোল কালেকশন (ইটিসি) বুথ। এর মাধ্যমে চলমান গাড়ি থেকে মাত্র ৩ সেকেন্ডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় করা যাবে।
সেতু কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল পরিশোধের জন্য যানবাহনের উইন্ডশিল্ডে বিশেষ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) কার্ড লাগাতে হবে। ফাস্ট ট্র্যাকের মাধ্যমে এই প্রি-পেইড কার্ড থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল কেটে নেবে ইটিসি বুথ। সেতুর দুই প্রান্তে প্রথম পর্যায়ে দুটি গেটে বসানো হবে ইটিসি বুথ। আগামী ছয় মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দুই প্রান্তের অন্য ১২টি গেটেও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করা হবে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (কারিগরি) কাজী মোহাম্মাদ ফেরদৌস গণমাধ্যমকে জানান, পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের টোল প্লাজায় সাতটি করে মোট ১৪টি গেট রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে দুই প্রান্তে দুটি গেটে ইলেকট্রনিকস টোল কালেকশন বুথ চালু হবে। যার ভেতর দিয়ে একটি গাড়ি মাত্র তিন সেকেন্ডে পার হতে পারবে।