পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সরকারের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা মানুষ হত্যা করে এবং দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে চুবিয়ে মারতে চায়; যারা বিশিষ্ট ব্যক্তি ড. ইউনূসকে চুবিয়ে মারতে চায় তাদের আমন্ত্রণে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী কখনো সেখানে যেতে পারে না।’
বুধবার (২২ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে বুধবার সকালে ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানায় সরকার।
সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর বুধবার বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির সাতজন নেতা-দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে দুলাল চন্দ্র বলেন, তিনি সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মাসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, খালেদা জিয়া একবার বলেছিলেন পদ্মা সেতু জোড়তালি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এবং এটি ব্যবহার করতে গিয়ে ভেঙে পড়বে। ‘এখন তাদের কী করা উচিত? তাদের পদ্মা সেতুতে নিয়ে যেতে হবে এবং সেখান থেকে নদীতে ফেলে দিতে হবে।’
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে খালেদা জিয়ার প্রাণনাশের হুমকি বলে বর্ণনা করে আসছে।