স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ অভিনন্দন জানানো হয়।
অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য টেকসই পরিবহন পরিকাঠামো নির্মাণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহন কার্যকরীভাবে করা যায়।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশে নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ তৈরি করবে এবং বাণিজ্য ও জীবনমানের উন্নতি করবে। এই সেতু দক্ষিণ এশিয়াতে কানেক্টিভিটি প্রসারে বাংলাদেশের নেতৃত্বের একটি অনন্য উদাহরণ বলেও মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার দেশের বৃহত্তম যোগাযোগ অবকাঠামো পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে শুরু হল স্বপ্নের সেতুর স্বপ্নযাত্রা। খুলল দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগের দুয়ার।
বেলা ১২টায় প্রমত্তা পদ্মার বুকে বাঙালির গর্ব ও অহঙ্কারের প্রতীক, বহু কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সেতুর উদ্বোধন করতে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারে করে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পৌঁছান। সেখানে বেলা পৌনে ১১টায় সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন। ভাষণের পর তিনি সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করেন।
পরে সেতুর উদ্বোধন চত্বরের দিকে যাত্রা করেন। এ সময় টোলপ্লাজায় তিনি নিজের গাড়ির টোল পরিশোধ করেন। পরে সেতুর উদ্বোধন মঞ্চে পৌঁছে দেশ ও জাতির জন্য দোয়া করেন। দোয়া শেষে সেতুর উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন।এর মাধ্যমে খুলে গেল দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অপরাপর অংশের সংযোগ, যোগাযোগ ও সম্ভাবনার দুয়ার।