রবিবার ইন্দোরের তেজাজি নগরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ‘ইয়ে রিস্তা কেয়া কেহলাতা হ্যায়’, ‘শ্বশুরাল সিমর কা’ খ্যাত অভিনেত্রী বৈশালী ঠক্করের ঝুলন্ত দেহ। সঙ্গে অভিনেত্রীর ইন্দোরের বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রের খবর বৈশালীর সুইসাইড নোটে তিনি প্রাক্তন প্রেমিক রাহুল নভলানিকে দায়ী করেছেন। অভিনেত্রী ভাই-এর দাবি, রাহুল প্রায়দিনই বিভিন্নভাবে বৈশালীকে হেনস্থা করতেন, হুমকি দিতেন। হয়রানি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগের ভিত্তিতে রাহুল নভলানি ও তাঁর স্ত্রী দিশা নভলানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে মধ্যপ্রদেশ পুলিস।
বৈশালীর প্রাক্তন প্রেমিক রাহুল ও তাঁর স্ত্রী দিশা মধ্যপ্রদেশে বৈশালীর প্রতিবেশী। ভারতীয় দন্ডবিধি ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), ৩৪ ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে বৈশালীকে দিনের পর দিন হয়রান করেছে এই দম্পতি, যার জেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন অভিনেত্রী। এসিপি মোতি উর রেহমান জানান, ‘বিয়ে করতে চেয়েছিলেন বৈশালী। কিন্তু বারবার তাঁর বিয়েতে বাধা দিচ্ছিলেন বৈশালীর প্রাক্তন রাহুল। বৈশালীর সুইসাইড নোটে সেকথারই উল্লেখ রয়েছে। পুলিস রাহুলের বাড়িতে গিয়েছিল কিন্তু তাঁদের পাওয়া যায়নি। আপাতত তদন্ত চলছে।’
পুলিসের দাবি, বৈশালীর আত্মহত্যার পরেই পরিবারকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাহুলের। ইন্দোরের পুলিস কমিশনার জানিয়েছেন যে, রাহুল ও তাঁর পরিবার যাতে দেশের বাইরে পালাতে না পারে তার জন্য তাঁদের নামে লুক আউট নোটিস জারি করা হবে। এই তদন্তে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসেরও তদন্ত চলছে। রাহুল ও দিশা ছাড়াও এই ঘটনায় দোষীর তালিকায় রয়েছে আরেক ব্যক্তির নাম। তিনি হলেন রোহিত। সম্পর্কে তিনি রাহুলের স্ত্রী দিশার ভাই।
কয়েকমাস আগেই রোকা অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো শেয়ার করে হবু স্বামী ড: অভিনন্দন সিং-এর সঙ্গে আলাপ করিয়েছিলেন বৈশালী। সেই অনুষ্ঠান পরিবার ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে ঘরোয়া ভাবেই হয়েছিল বলে জানা যায়। জানা যায়, বৈশালীর হবু স্বামী অভিনন্দন সিং কেনিয়ার একজন দাঁতের চিকিৎসক। আর এই ঘটনার একমাস কাটতে না কাটতেই বৈশালী জানান তাঁর বিয়ে বাতিল হয়ে গিয়েছে, যেটা কিনা এই জুনে হওয়ার কথা ছিল। রাহুলের হস্তক্ষেপেই বাতিল হয়েছে বৈশালীর বিয়ে, এমনটাই খবর।