পাবনার সাঁথিয়া পৌর এলাকার পিপুলিয়া মহল্লার ‘রাজ উইভিং ফ্যাক্টরি’ নামক তাঁত কারখানার বিরুদ্ধে একই মহল্লার মৃত জুলমত কাজীর ছেলে আ: মতিন কাজী ২০২০ সালের ২৮ অক্টোটবর অভিযোগ দেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার বরাবর এবং ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি অভিযোগ দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর।
অভিযোগকারী তার আবদনপত্রে অভিযোগ করেন, ‘রাজ উইভিং ফ্যাক্টরি’র কেমিক্যাল যুক্ত পানি, ফ্যাক্টরির বিকট শব্দ এবং সাউন্ড বক্সের বিকট শব্দে জনস্বাস্থের মারাত্মক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রয়ারি পরিচালক প্রশাসন ড. এ টি এম মাহবুব-উল-আলম (স্মারক নং ২২.০২.০০০০.০০২.২৭.০১২.১৮.৫২) পাবনার সহকারী পরিচালককে দ্রুত তদন্ত করে সাতদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তদন্ত হয়েছে তিনদফা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আদেশটি অধ্যাবধি বাস্তবায়ন হয়নি, কারখানাটির বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
জানা গেছে, আ: মতিন কাজী প্রথম অভিযোগ দেন সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র বরাবর ২০২০ সালর ১০ জানুয়ারি। ২০২১ সালের ২৪ ফ্রেব্রয়ারি মতিন কাজীর দেয়া একই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিষয়টি তদন্ত করার জন্য পাঠান সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র বরাবর।
পত্রপ্রাপ্তির পর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু সাত সদস্যের একটি তদন্ত কামটি গঠন করেন (স্মারক নং সাঁ/পরঃ/প্রশাঃ/২০২১/৭২৭। তদ)। আবাসিক এলাকায় পরিবশ দূষণ করে মিল কারখানা নির্মাণ আইন না মেনে ফ্যাক্টরি স্থাপনের ফলে পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করে কারখানাটির মালিক ইন্তাজ আলী মল্লিককে কারখানা অনাবাসিক এলাকায় স্থানান্তরের আদশ দেন (স্মারক নং সাঁ/পঃ/প্রশাঃ ২০২১/৭২৭/১(৮), ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১)।
২০২২ সালের ২৮ জুলাই পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক সুফিয়া নাজিম ‘রাজ উইভিং ফ্যাক্টরি’র বিরুদ্ধে পরিবেশগত ছাড়পত্রের ১, ২ ও ৫ নং শর্ত ভঙ্গ করার দায়ে এনফার্সমট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মহাপরিচালক বরাবর স্মারক নং ২২.০২.১০২০.১২১.৫৮.৯০০১.১৮.৫৩৯, ২৮ জুলাই’ ২০২২ প্রেরণ করেন। তাতেও কোন কাজ হয়নি বলে জানান ভুক্তভোগী মতিন কাজী।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর, পাবনার সহকারী পরিচালক মিলন মিয়ার নিকট জানতে চাইল তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এমতাবস্থায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যকলাপে অভিযোগকারী হতাশ। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকষর্ণ করেছেন।