টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। হোবার্টের বেলেরিভ ওভাল মাঠে এ ম্যাচ সামনে রেখে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি আজকের ম্যাচে বিশেষ পরিস্থিতিতে কারো ওপর নির্ভর না করে যখন যার সামনে যে পরিস্থিতি আসবে তার সঙ্গে মানিয়ে পারফরম করার পরামর্শ দিয়েছেন। সাকিবের কাছে মূলত দলের ফিনিশিং নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ভার্সনের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব বলেন, ‘দেখুন কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে কোনো নির্দিষ্ট কাজ করতে হবে, এমন হলে সেই খেলোয়াড়ের জন্য কষ্টকর। আমি তো চাইব, আমাদের দল ব্যাটিং যখনই করুক, ওপেনার দুই জনই ২০ ওভার খেলুক। সে যদি না পারে নাম্বার থ্রির কাজ সেটা। নাম্বার থ্রি যদি না পারে, নাম্বার ফোরের কাজ সেটা। সাকিব বলেন, যখন যে পরিস্থিতিতে যে অবস্থা আসবে, সেটার সঙ্গে আসলে মানিয়ে নিতে হবে। এ কারণেই বারবার বলছি পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে পারাটা। এখন যদি ধরেন দুই জন সেট ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করেছে ১৫ ওভার পর্যন্ত। এরপর তারা যদি মনে করে এখন আমাদের দায়িত্ব শেষ। আমরা অন্যদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে দেব। তাহলে আসলে বিষয়গুলো ভালো হয় না।’
এ প্রসঙ্গে সাকিব গত শনিবার নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের উদাহরণ টানেন। এ ম্যাচে ডেভন কনওয়ে শুরুতে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৯২ রান করে দলকে ২০০ রানের সংগ্রহ এনে দেন। শুরুতে ফিন অ্যালেন যখন অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বেপরোয়াভাবে শাস্তি দিচ্ছিলেন তখন কনওয়ে ছিলেন ফিন অ্যালেনের সহযোগীর ভূমিকায়। পরে তিনিই নিউজিল্যান্ডের জয়ের নায়ক হয়ে যান। সতীর্থদের কাছ থেকেও এমনটাই পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলা প্রত্যাশা করেন সাকিব।
সাকিব বলেন, ‘কালকের (শনিবার) ম্যাচটা যদি দেখেন, নিউজিল্যান্ডের একটা ব্যাটসম্যান ওপেন থেকে নেমে পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করেছে। এ কারণেই আসলে ওদের দলীয় সংগ্রহটাও ঐ রকম অবস্থানে গিয়েছে, দলের অবস্থাও একটা ভালো জায়গায় গিয়েছে। তো আমাদের কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই যে, একে প্রথম ৬ ওভার ব্যাটিং করতে হবে, একে পরের ৭-৮ ওভার ব্যাটিং করতে হবে এবং এ দুই-তিন জনকে শেষ ৩ থেকে ৫ ওভার ব্যাটিং করতে হবে। আমাদের ঐ রকম কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। যখনই যে পরিস্থিতি আসবে দলের প্রয়োজন অনুযায়ী সে যদি তখন পারফরম্যান্সটা করতে পারে আমাদের জন্য সেটাই যথেষ্ট।’