‘তিনি চাইলে খেলতে না চাওয়া ক্রিকেটারকে খেলিয়ে দিতে পারেন। তিনি চাইলে দেশের অধিনায়ক পাল্টে যেতে পারে। তিনি চাইলে এশিয়া কাপের মতো প্রতিযোগিতায় কোচ ছাড়া যেতে পারে দল। বাংলাদেশ ক্রিকেটে কান পাতলে শোনা যায়, সবই তার ইচ্ছা। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান।’
উপরের এই প্যারাটি লিখেছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা। “কে অধিনায়ক, কে কোচ দেখার প্রয়োজন নেই, বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘হাসান রাজা’- এই শিরোনামে বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।”
বাংলাদেশের ক্রিকেট দল কীভাবে চলছে, কারা চালাচ্ছে, ক্রিকেট দলের মূল সমস্যা কী? কোচ-ক্রিকেটারদের স্বাধীনতা আছে কি না- তা নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে এখন ক্রিকেটাঙ্গনে। এরই মধ্যে একটি জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ দলের কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন।
ডোমিঙ্গোর পক্ষ থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারা, তার কাজে বোর্ডের তরফ থেকে অযাচিত হস্তক্ষেপ, উচ্চ মহলের চাপের মুখে মুহূর্তের মধ্যে সিদ্ধান্ত বদলে যাওয়া, কোচ চান না এমন ক্রিকেটারকে খেলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলার পর থেকেই তোলপাড় শুরু হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভ্যন্তরের এসব খবর এখন শোভা পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়ও। যার ধারাবাহিকতায় ‘বিশ্লেষণ’ প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোও একটি নাতিদীর্ঘ বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে আজ। শিরোনামই বলে দিচ্ছে অনেক কিছু। ‘সব কিছুই প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রণে, ক্রিকেটে বিশৃঙ্খলা- বাংলাদেশের গল্প’- এই শিরোনামে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ঘরে-বাইরের পুরো পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
রাসেল ডোমিঙ্গোর গুরুতর অভিযোগ
দিনের শুরুতেই ক্রিকেটাঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করে বাংলাদেশে বহুল প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলোর একটি সাক্ষাৎকার। কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর সেই সাক্ষাৎকারের শিরোনামই হচ্ছে, ‘ধমক আর চিৎকারে পারফরম্যান্স আসে না।’
এই সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা ভালো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটই খেলছিলাম। এরপর ২০২১ বিশ্বকাপ আসে, যেখানে ক্রিকেটাররা বাইরের চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি।’
বাইরের এই চাপ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করতেই অনেক কথা বলে দিয়েছেন ডোমিঙ্গো। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপের মূল পর্বে দুটি ম্যাচ হারলাম। সাকিব, সাইফউদ্দিন চোটে পড়ল। ওই সময় দলের মধ্যে অনেক টেনশন কাজ করছিল। ক্রিকেটাররা যখন নিজেদের মতো চিন্তা করতে পারে না, তখন এটা হয়। কোচিং, লিডারশিপ থেকে এটা আসে। গত ৮ থেকে ১০ বছরে এই দলের ক্রিকেটাররা সে ধরনের কোচিং পায়নি। ক্রিকেটাররা নিজেদের মতো করে ভাবতে পারে না। কারণ, বোর্ড তাদের কথা শোনায়, ডিরেক্টর অব ক্রিকেট কথা শোনায়, সবাই শোনায়। যদি ক্রিকেটারদের প্রতি পদে পদে বলে দেওয়া হয় কীভাবে কী করতে হবে, তাহলে ওরা শিখবে কীভাবে? ক্রিকেটাররা নিজেরা ভাবতে পারে না। কারণ, সব সময় তাদের বলে দেওয়া হয় কী করতে হবে। এটাই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ক্রিকেটাররা তাদের মতো কিছু ভাবতে পারে না, করতে পারে না।’
ক্রিকেটারদের স্বাধীনতা দেওয়া প্রসঙ্গে ডোমিঙ্গোর বক্তব্য হচ্ছে, ‘একদমই তাদের মতো করে ছেড়ে দিতে চাইনি। তবে চিৎকার-চেঁচামেচি করে খুব একটা লাভ হয় না। যখন ওরা ভুল করে, তখন বাজেভাবে সমালোচনা করলে ক্রিকেটারদের সেরাটা পাওয়া যাবে না। আমি এটাই করতে চাইনি। ক্রিকেটাররা ভুল করবে, তাদের সেটা থেকে শিখতে হবে। সেজন্য নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে দিতে হবে। কিন্তু তারা সেটা করতে পারে না। কারণ, তাদের সারাক্ষণ পরামর্শের ওপর রাখা হয়, ধমক দেওয়া হয়। এটা যে একদিক থেকে আসে, তা নয়। চারদিক থেকেই আসে। যে কারণে নিজেদের ক্রিকেটীয় জ্ঞান বাড়ে না। নিজেরা চিন্তা করতে পারে না। ছেলেরা এতে এতই অভ্যস্ত হয়ে গেছে যে সব সময় এখন পরমুখাপেক্ষী হয়ে থাকে।’
বোর্ড থেকে কোচকে বলা হতো ক্রিকেটারদের সারাক্ষণ ধমকাতে হবে। এভাবেই নাকি আচরণ করতে হয়। ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমাকে সব সময় বলা হতো, ওদের সারাক্ষণ ধমকাতে হবে। কঠোর হতে হবে। এভাবেই নাকি ক্রিকেটারদের সঙ্গে সব সময় আচরণ করা উচিত। আমি নিশ্চিত, আমার আগেও অনেক কোচ একই কাজ করেছে।’
টি-টোয়েন্টিতে নেই কোনো হেড কোচ, দল চালাবেন কারা?
এ তো গেলো কোচ এবং ক্রিকেটারদের ওপর কেমন নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ করা হয় তার কিছু চিত্র। ক্রিকইনফোর বিশ্লেষণে উঠে এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে বোর্ড সভাপতির একক ক্ষমতাচর্চার বিস্তারিত বিবরণ। সেখানে যা লেখা হয়েছে, তা তুলে ধরা হলো-
রাসেল ডোমিঙ্গোকে টি-টোয়েন্টি’র কোচিং থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ দল এশিয়া কাপ খেলতে গেছে কোনো নিয়মিত কোচ ছাড়াই। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনই গত সোমবার বলে দিয়েছেন, ‘এখানে (এশিয়া কাপে) কোনো প্রধান কোচ থাকবেন না। আমাদের ব্যাটিং কোচ আছে, পেস বোলিং কোচ, স্পিন বোলিং কোচ, ফিল্ডিং কোচ- সবই আছে। আমাদের একজন অধিনায়কও আছে। শুধু তাই নয়, আমাদের একজন টেকনিক্যাল কনসালট্যান্টও আছেন। তিনি গেম প্ল্যান দেবেন। এছাড়া দলের সঙ্গে থাকবেন টিম ডিরেক্টর (খালেদ মাহমুদ সুজন), জালাল ভাই (ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান) এবং আমি নিজে। আর কাকে দরকার সেখানে?’
টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরাম এশিয়া কাপে ডি ফ্যক্টো প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সে সঙ্গে থাকছেন জেমি সিডন্স, অ্যালান ডোনাল্ড, রঙ্গনা হেরাথ এবং শেন ম্যাকডারমট। সঙ্গে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এবং বিসিবি প্রেসিডেন্ট নিজে থাকবেন এশিয়া কাপে দলের সঙ্গে। সুতরাং বিসিবি সভাপতি মনে করছেন, বিশাল এই লাইনআপের পর এখানে একজন প্রধান কোচ আসলেই প্রয়োজন নেই এবং এ মানসিকতাই বলে দিচ্ছে, আসলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে?
নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দলীয় সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে উচ্চ পর্যায়ের পদ-পদবিধারী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে। সঙ্গে রয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি মাঠের সিদ্ধান্তগুলো এককভাবেই নেবেন। ম্যাচের রেজাল্ট যাই হোক, কোনো প্রধান কোচ যেহেতু নেই, সেহেতু কোনো জবাবদিহিতাও নেই।
বাংলাদেশের ক্রিকেট কীভাবে সভাপতির একক নিয়ন্ত্রণে?
সাকিব আল হাসানের জন্য এই পরিস্থিতি একেবারেই নতুন নয়। তবে, এসব কাজ সামাল দেওয়াও খুব একটা সহজ কাজ নয়। নাজমুল হাসান পাপন যখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের দায়িত্ব নিয়েছেন, তখন থেকেই তিনি নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে আসছিলেন। ২০১৬ সালে নির্বাচক প্যানেল নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা ছিল রীতিমত বিস্ময়কর। তিন নির্বাচকের সঙ্গে তৎকালীন কোচ হাথুরুসিংহে, ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান এবং টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনকে জুড়ে দেয়া হয়। এই ছয়জনের সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই দল নির্বাচিত হবে।
নাজুমল হাসান পাপন এর আগে প্রকাশ্যেই তাকে না জানিয়ে প্লেইং একাদশ সাজানোর তুমুল সমালোচনা করেন। অর্থাৎ ওই সমালোচনার পর নিশ্চিত হয়ে গেলো, বিসিবি সভাপতির অগোচরে কোনো একাদশ গঠন করা সম্ভব নয়। ২০১৬ সাল থেকেই তাকে না জানিয়ে কোনো একাদশ আর গঠন করা হয়ও না বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে।
বিসিবি সভাপতি নিজের ক্ষমতাবলে কোনো বড় টুর্নামেন্ট আসার মাত্র এক-দুই সপ্তাহ আগে কোচিং প্যানেলে বড় ধরনের পরিবর্তন আনেন।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান তার পছন্দের খেলোয়াড়কে নির্দেশ কিংবা পরামর্শ দেন নির্দিষ্ট সিরিজ খেলার জন্য। চলতি বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরে ছিলেন না সাকিব। সে জন্য তিনি লিখিতভাবে বোর্ডকে জানিয়েছিলেনও। কিন্তু তাকে রেখেই নিউজিল্যান্ডের দল ঘোষণা করা হয়। এর ব্যাখ্যায় পাপন বলেছিলেন, ‘সাকিব আনঅফিসিয়ালি আমাকে জানিয়েছে সে খেলবে। কিন্তু বিষয়টা অফিসিয়ালি ঘোষণা দিতে তাকে বলা হয়েছে।’ যদিও শেষ পর্যন্ত সাকিব নিউজিল্যান্ড সফরে যাননি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের যে কোনো সিরিজ চলাকালেই বিসিবি সভাপতি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের সমালোচনা করেন। সিরিজ শেষে তো করেনই। কাউকে কিছু না জানিয়েই তার টিম মিটিংয়ে হাজির হয়ে যাওয়ার বিষয়টা সবারই জানা। নিয়মিতিই নিজের বাসভবনে খেলোয়াড় এবং কোচদের ডেকে পাঠান আলাপ-আলোচনা করার জন্য। আর অবশ্যই বিসিবি সভাপতি টিভি ক্যামেরার সামনে নিজেকে দাঁড় করাতে খুব ভালোবাসেন।
২০১৩ থেকে ৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুল হাসান পাপন। এর মধ্যে তিনি নিজের বিষয়ে এ বিশ্বাস সবার মনে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন যে, দলের কোচ কে হবেন, অধিনায়ক কে হবেন- সব নির্ধারণ করবেন তিনি নিজে।
অধিনায়ক হিসেবে সাকিব থাকলে কোচের প্রয়োজন নেই!
অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম ঘোষণা হওয়ার পর ১৯ আগস্ট বিসিবি সভাপতির কাছে জানতে চাওয়া হয়, সাকিবের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সম্পর্কে। জবাবে তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস মনে রাখা দরকার। সাকিব অধিনায়ক হলে কে কোচ হলো বা না হলো সেটা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই। সে’ই সেরা একাদশ বেছে নেবে। সবার জানা উচিত, দলের প্রথম একাদশ সাকিবই বেছে নেয়। অবশ্যই সে কোচের পরামর্শ নেয়; কিন্তু কোচও সেই একাদশই মেনে নেয়, যেটা অধিনায়ক চায়। আমাদের দলে কোচ নেই, কিন্তু খালেদ মাহমুদ (টিম ডিরেক্টর) এবং জালাল ইউনুস আছে। আমি আছি। আর কাকে প্রয়োজন?’
গত সোমবার সাকিবের কাছে যখন জানতে চাওয়া হয়, এ ধরনের নতুন এক পরিস্থিতিতে এমন একটি দলের অধিনায়ক হওয়া কতটা কঠিন? সাকিব জবাব দিলেন কূটনৈতিক ঢংয়ে, ‘চ্যালেঞ্জ সব জায়গায়ই আছে। এটা আমাদের দল কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি দল কিংবা অন্য যে কোনো ক্রিকেট বোর্ড- যাই হোক না কেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকবে। বিষয়টা নির্ভর করে ক্রিকেট বোর্ড কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজির আকার-আকৃতির ওপর।’
সাকিব এখানে নিজেকে রক্ষা করেই খেললেন। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু কিছু অধিনায়কের সঙ্গে যেভাবে বিসিবি (বোর্ড সভাপতি) ব্যবহার করেছে, তাতে একটা শঙ্কা থেকে যায় বৈকি। সেক্ষেত্রে সাকিব নিজেকে রক্ষা করেই চলবেন, এটাই স্বাভাবিক।
পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে চলবেন সাকিব?
আগামী কয়েক মাসের পরিস্থিতি আলাদা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অন্তত ছয়টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এই সময় খারাপ খেললে শুধু সমর্থকরা দুঃখ পাবেন তা-ই নয়, সাকিবের ওপরও চাপ বাড়বে।
এশিয়া কাপের দলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছেন নাজমুল হাসানও। বাংলাদেশ ক্রিকেটের খবর পাওয়ার দিক থেকে কোনো চিন্তা থাকার কথা নয়। কারণ, প্রতিটি ম্যাচ নিয়েই সংবাদ সম্মেলন ডাকতে ভালোবাসেন তিনি। গতবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো খারাপ ফল হলে বাংলাদেশ শিবিরের পরিস্থিতি কেমন হবে তা আন্দাজ করাই যায়। সে সঙ্গে অধিনায়ক সাকিবের ওপরেও বাড়বে চাপ। আর ক্রিকেটারদের তো প্রশ্ন করার কোনো অধিকারই নেই কারও।
সাকিব কী করবেন? তিনি হয়তো নিজেকে ঠান্ডা রাখারই চেষ্টা করবেন। তিনি মাঠের বাইরে বোর্ড প্রধান, ডিরেক্টরের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করবেন। সে সঙ্গে মাঠের মধ্যে দলের লক্ষ্য ঠিক রাখার দায়িত্বও তার। টালমাটাল পরিস্থিতি, এর মাঝেও ভালো ফল করতে চাইবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে মাশরাফি বিন মর্তুজা এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলেন। যদিও বিশ্বকাপটা এসেছিল তার জন্য আশীর্বাদ হয়ে। সাকিব তেমন সৌভাগ্যের আশা করতেই পারেন। তেমনটা হলে, যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে দেশের ক্রিকেট এগিয়ে চলছে- এটাই ঠিক বলে হয়তো প্রমাণিত হবে।
তেমনটা পারলে সাকিবের উপহার হবে বোর্ডের শান্ত পরিবেশ। কিছুদিনের নিশ্চিন্ত পরিস্থিতি। নইলে বিসিবি সভাপদি নাজমুল হাসান পাপন কী পদক্ষেপ নেবেন তা আন্দাজ করাই মুশকিল।