ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাংসদ দিলীপ ঘোষের সভায় একজন নারীর কোমরে দড়ি বেঁধে তাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে দলের নারী কর্মীদের বিরুদ্ধে। রেলের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ তুলে শেফালি রায় নামে ওই নারীকে মারধর করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর শহরের গোলবাজারের একটি আবাসনে ঘটনাটি ঘটেছে। যদিও মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানান, তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।পুরো ঘটনা ঘটেছে হলের বাইরে। তিনি ছিলেন ভিতরে। এ ঘটনায় বিজেপিকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজেপির শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় রেলওয়ে মালগুদাম শ্রমিক সঙ্ঘ সম্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল দিলীপকে।
সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা সদস্যরা। মালদা থেকে গিয়েছিলেন শেফালি। তাকে ওই অনুষ্ঠানে দেখেই কয়েকজন নারী টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনেন।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, কোমরে দড়ি বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শেফালিকে। তাকে যারা মারধর করেছেন, তাদের বক্তব্য- চাকরির নামে টাকা নিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
প্রতারিত এক জনের দাবি, আমরা শেফালি রায়কে রেলের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলাম। সেই চাকরি তো হলোই না। উল্টো তার সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সহযোগিতা করেননি শেফালি। তাকে এই অনুষ্ঠানে দেখতে পেয়ে অনেকেই ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি।
পুলিশ বলছে, শেফালিকে মারধর করার পর খড়্গপুরের একটি লজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই তাকে উদ্ধার করে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। এ ঘটনায় এরই মধ্যে পাঁচ নারীসহ সাত জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। ওই ঘটনার কথা কিছুটা শুনেছি। পুরোটাই বাইরে ঘটেছে। আমি ভিতরে ছিলাম। আরো খোঁজ নিয়ে দেখছি।
বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, হলের ভিতরে অনুষ্ঠানের জায়গায় কোনো ঘটনা ঘটেনি। বাইরে কী হয়েছে, জানা নেই।
এ ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, বিজেপির দলের নেতা-কর্মীরাও যে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তার প্রমাণ পেল খড়্গপুরের মানুষ।