পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজা যুদ্ধের মধ্যে এই অঞ্চলেও সহিংসতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার এই অভিযান চালানো হয় বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রনালয় বলেছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর শক্ত ঘাঁটি এবং ঘন ঘন সামরিক হামলার লক্ষ্যবস্তু জেনিনে ১৭ থেকে ২৬ বছর বয়সী তিনজন নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, শহরের শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ড্রোন হামলায় তাদের দুজনের মৃত্যু হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শুক্রবার বলেছে, তাদের বাহিনী পশ্চিম তীর জুড়ে ‘হামাসের বিরুদ্ধে অপারেশন’ পরিচালনা করছে, জেনিন এবং উত্তরের শহর নাবলুসেও অভিযান চালানো হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হেব্রনের ফাওয়ার শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযানের সময় ৩৩ এবং ৩৬ বছর বয়সী আরও দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় এবং ওয়াফা জানিয়েছে।
সেনাবাহিনী বলেছে, ফিলিস্তিনিরা ‘অস্ত্র তৈরির’ সরঞ্জাম জব্দ করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দিকে মোলোটভ ককটেল এবং ঢিল ছুঁড়লে সৈন্যরা গুলি ছুড়ে জবাব দেয়।
জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরের শহর রামাল্লার মধ্যে কালান্দিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি গ্রেপ্তার অভিযানের সময় ২৯ বছর বয়সী আরেক ফিলিস্তিনি মারা গেছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেনিনে আরও দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ওই এলাকায় ‘সন্ত্রাস-বিরোধী কার্যক্রম’ চালাচ্ছে সেনারা। তবে তারা বিস্তারিত কোনো বর্ণনা দেয়নি।
বুধবার নাবলুসে ইসরায়েলি গুলির আঘাতে একজন ফিলিস্তিনি আহত হয়ে মারা গেছেন বলেও তারা জানিয়েছে।
হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় ৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করেছে এবং তার বাহিনী সেখানে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকারীদের ওপর নিয়মিত অভিযান চালায়।