লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাঁচ সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির (এলআরইউ) সভাপতি ইউনুস আলী ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বাবুলসহ বেশ কয়েকজন সদস্য।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) আহত সাংবাদিকদের মধ্যে চারজনকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এ ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন চারজন সাংবাদিক। সংবাদ সংগ্রহ শেষে সুলতান মণ্ডল বাড়ির পাশে সাংবাদিকদের আটক করেন আজিজার মণ্ডল ও তার বড় ছেলে সাহেদ মণ্ডল।এ সময় সাহেদ সাংবাদিকদের হাতে থাকা ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করেন।পরে লাঠিসোটা দিয়ে সাংবাদিকদের মারধর শুরু করেন।এমন ঘটনায় স্থানীয়রা আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করেন।
আহত ৬ সাংবাদিক হলেন – যমুনা টিভির লালমনিরহাট প্রতিনিধি আনিছুর রহমান লাডলা ও তার ক্যামেরাপারসন আহসান হাবিব,প্রথম আলোর লালমনিরহাট প্রতিনিধি আব্দুর রব,সুজন,আজকের পত্রিকার হাতীবান্ধা প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম রবি এবং এখন টিভির মাহফুজুল ইসলাম বকুল।
খবর পেয়ে হাসপাতালে সাংবাদিকদের দেখতে আসেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান।এ সময় এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।পাশাপাশি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন স্থানীয় এই রাজনীতিক।এদিকে,পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দাসহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার দাবি করেছেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটের নেতারা।