প্রথমে মোহাম্মদ কাশিম দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যুর কথা জানান। কিন্তু পরে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকর্মীরা আরও চারটি মরদেহ উদ্ধার করেছেন। তিনি বলেন, মরদেহ নেওয়ার জন্য সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা হাসপাতালে আসছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।
কর্তৃপক্ষ বলছে, দুর্ঘটনার সময় আবহাওয়া প্রতিকূল ছিল না। চালকের ভুল বা গাড়ির কোনো সমস্যা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তারা।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গাড়িটি যখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরু পাহাড়ি সড়ক থেকে গভীর খাদে পড়ে, তখন এর গতি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল আলী বলেন, তিনিও মোটরসাইকেলে একই সড়ক হয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দ্রুতগতির একটি ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের খাদে পড়তে দেখেন। এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের মরদেহ পরিবারের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা, ট্রাফিক আইন মানতে চালকদের অনীহা ও অচল যানবাহনে যাত্রী পরিবহনের কারণে পাকিস্তানে প্রায়ই এমন প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটে।