পাকিস্তান ছেড়ে নিজ দেশে ফিরেছে দেড় লাখের বেশি আফগান শরণার্থী। গত মাসে আফগান শরণার্থীদের দেশ ছাড়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয় পাকিস্তান। এরপরেই সীমান্তে অভাবনীয় দুর্ভোগের মধ্যে তাদের অনেককে পাকিস্তান ছাড়তে হয়।
সম্প্রতি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়। এর জেরেই পাকিস্তান থেকে অবৈধ আফগান শরণার্থীদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় তাদের গ্রেফতারের মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করা হয়। এরপরই আফগান শরণার্থীরা পাকিস্তান ছাড়তে শুরু করে। এখন পর্যন্ত দেড় লক্ষাধিক আফগানি দেশটি ছেড়েছে বলে জানা গেছে। সময়সীমা শেষ হওয়ার কয়েক দিন আগে থেকেই সীমান্তের দিকে ছুটতে থাকে এসব শরণার্থী। লক্ষ্য ছিল সীমান্ত পেরিয়ে নিজ দেশে প্রবেশ করা।
এ বিষয়ে তালেবান সরকারের শরণার্থী বিষয়কমন্ত্রী খলিল হাক্কানি বলেছেন, আমরা পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ করছি এবং আরো সময় চাইছি। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। তাছাড়া যেসব পরিবারের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাদের জন্য ক্যাম্প করা হচ্ছে।
নভেম্বর শুরুর আগেই নিজেদের দেশে ফিরতে হবে পাকিস্তানে বসবাসকারী আফগানিস্তানের নাগরিকদের। ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা করা হয়েছিল অক্টোবরের শুরুতেই। সেই ‘সময়সীমা’ শেষের প্রহর এগিয়ে আসতেই পাক-আফগান সীমান্তে শুরু হয় প্রশাসনিক তৎপরতা। পাকিস্তানের তৎপরতায় আতঙ্কিত বহু আফগান শরণার্থীও সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ফিরতে শুরু করে।
পাক-আফগান সীমান্তবর্তী খাইবার-পাখতুনখোয়া ও বালুচিস্তান প্রদেশের বিভিন্ন চেকপোস্টে দেখা যায় আফগানিস্তানের মানুষ ও যানবাহনের দীর্ঘ সারি। আশির দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত সেনার প্রবেশ ও মুজাহিদ বাহিনীর সঙ্গে তাদের লড়াই শুরুর পর থেকে পাকিস্তানে মূলত পাশতুন জনগোষ্ঠীর শরণার্থীদের ভিড় শুরু হয়েছিল। দুই দশক আগে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা অভিযান শুরুর পরেও কয়েক লাখ আফগান নাগরিক প্রাণভয়ে পাকিস্তানে চলে এসেছিলেন।