বিশ্বকাপ ক্রিকেটে একের পর এক ম্যাচ গড়িয়ে যাচ্ছে। সামনে আসছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচ। পাকিস্তান-ভারত লড়াই করবে। হাইভোল্টেজ ম্যাচ। এই ম্যাচ ঘিরে ভারত সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়। আগামী শনিবার ১৪ অক্টোবর, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মহারণ। আশা করা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোহিত শর্মা আর বাবর আজমদের খেলা দেখতে হাজির থাকবেন ১ লাখ দর্শক। তাই রাখতে হবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা।
২০১৬ সালের পর আবার ভারতের মাটিতে পা রেখেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। পাকিস্তান শেষবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল ভারতে। সাত বছর পর ফের ভারতে তারা। চলতি বিশ্বকাপের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান। মাদার অব অল ব্যাটল এর দিকে তাকিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব।
সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সংভি, রাজ্য ডিজিপি বিকাশ সহায় ও আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জি এস মালিক। বৈঠকের পর ভারতীয় সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান-ভারত ম্যাচে পুরা স্টেডিয়াম নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ থাকবে ৭ হাজারের বেশি।
খেলা চলাকালীন সময় শহরের যেসব সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল এলাকা রয়েছে সেখানে যেন আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকে, সেটিও আমরা দেখছি। স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার জন্য প্রায় ৪ হাজার হোম গার্ড মোতায়েন করা হবে। থাকবে তিনটি হিট টিম। থাকবে এনএসজির অ্যান্টি ড্রোন টিম। ৯টি বোমা শনাক্তকরণ ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী স্কোয়াডকেও কাজে লাগানো হবে। ১৩ প্ল্যাটুন রিজার্ভ পুলিশ, পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটলে, দর্শকদের কীভাবে দ্রুত সাহায্য করা যায় এবং দ্রুত স্টেডিয়াম ফাঁকা করা যায়, সেটা নিয়ে এরই মধ্যে রিহার্সাল করা হয়েছে।’
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এতো আগেভাগে কেনই বা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের নিরাপত্তার বিষয়ে তোজোগ শুরু হয়েছে। তাহলে কি কোনো আশঙ্কা রয়েছে? ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে মুম্বাই পুলিশের কাছে কিছুদিন আগেই একটি অজ্ঞাত ব্যক্তির থেকে মেইল এসেছে। যেখানে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে যে, ম্যাচের দিন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। সেই ব্যক্তির ৫০০ কোটি টাকা ও কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের জেল থেকে মুক্তির দাবি করেছে।
এই প্রসঙ্গে আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জি এস মালিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যে কোনো হুমকি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখি। সেভাবে পরিকল্পনাও গ্রহণ করি। পাকিস্তান-ভারত ম্যাচে ১ লাখের বেশি দর্শক আসতে পারে। এটিও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো পরিস্থিতির জন্য পুলিশ প্রস্তুত থাকবে।’