সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানি বাড়ার কারণে তীব্র স্রোতে ধসে পড়েছে দুটি সেতু। বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলার ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজিপুরের চরাঞ্চলে অবিস্থত ছয়টি ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ভেটুয়া থেকে ডিগ্রি দোরতা পর্যন্ত তিন কিলোমিটারব্যাপী দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। তেকানি থেকে রূপসা পর্যন্ত আট কিলোমিটার আরসিসি রাস্তার তিন কিলোমিটার পানিতে ডুবে গেছে। এই রাস্তার মুজিব কেল্লার দক্ষিণে এবং কিনারবেড় মাদরাসাসংলগ্ন রাস্তায় দুটি সেতু পানির তোড়ে ধসে গেছে। পানি গড়িয়ে পড়ায় এই রাস্তাটি যেকোনো সময় ধসে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন।
কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, পানি বৃদ্ধির কারণে পানিবন্দি ৪১ বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, বন্যাকবলিত এলাকার ফসলি জমির পাট, তিল, কাউন, বাদাম, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের উঠতি ফসল নষ্ট হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। বিশেষ করে পাটক্ষেতের অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে। এমন অনেক ক্ষেত ছিল যেগুলো দুই-চার দিনের মধ্যেই কাটা যেত। সেগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে।
কাজিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ কে এম শাহা আলম মোল্লা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) থেকে আমরা ত্রাণ তৎপরতা শুরু করব। ‘
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেশি বাড়েনি। আমরা সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। বানভাসিদের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে।