চীন ও রাশিয়াকে মোকাবিলার বিষয়টি সমানে রেখে নতুন পারমাণবিক অ্যাটাক সাবমেরিন তৈরি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এসএসএন (এক্স) সিরিজের নেক্সট জেনারেশন অ্যাটাক সাবমেরিনগুলো ২০৩০ সাল নাগাদ মাঠে নামতে পারবে। বিপরীতে চীনও পিছিয়ে নেই। দেশটি নতুন ড্রোন সাবমেরিন নামাতে যাচ্ছে দক্ষিণ চীন সাগরে।
পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের এই প্রকল্পটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরে থাকা বর্তমান সাবমেরিনগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যাগুলোকে কাটিয়ে উঠে গভীর সমুদ্রে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সক্ষমতাকে এগিয়ে নিয়ে চীন ও রাশিয়াকে পেছনে ফেলার মতো করেই নির্ধারণ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের ২০২২ সালের আগস্ট মাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনো পর্যন্ত পারমাণবিক ওই সাবমেরিন সিরিজের নকশা এখনো চূড়ান্তভাবে করা হয়নি। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এসএসএন (এক্স) সিরিজের নেক্সট জেনারেশন অ্যাটাক সাবমেরিনগুলোর একটি নির্মাণ করতে ৫৮০ কোটি ডলার পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে। অথচ, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বহরে থাকা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ভার্জিনিয়া ক্লাস সাবমেরিন নির্মাণে খরচ হয় ৩৬০ কোটি ডলার।
এদিকে, দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের শক্তিমত্তা বাড়াতে মনুষ্যবিহীন সাবমেরিন নামাতে যাচ্ছে চীন। সম্প্রতি স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য থেকে এই ধারণা আরও শক্ত হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেভাল নিউজের এক প্রতিবেদনে স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া চিত্র বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, চীনের হাইনান দ্বীপে অবস্থিত চীনা নৌ–ঘাঁটি সানায়ায় দুটি বড় আকারের সমুদ্রের তলদেশে কার্যক্রম চালাতে সক্ষম এমন নৌযানের অবস্থান রয়েছে। ওই দ্বীপটি দক্ষিণ চীন সাগরের একেবারে নিকটবর্তী।
২০২১ সালের মার্চ–এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকেই ওই বিশেষ নৌযান দুটি সেই নৌ–ঘাঁটিতে অবস্থান করছিল।