আমরা একদিন দলবল নিয়ে গেলাম কাল্লুশাহ পার্কে। এত বড় পার্ক এবং চারিদিকে গাছ-পালা, সেগুলি এত সুন্দর লাগানো তা দেখতে বেশ লাগে। সেখানে দু’টি বড় বড় পুকুর আছে, আসলে পুকুর বল্লে ভুল হবে, খাল বল্লেই মনে হয় ঠিক হবে। আর একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম একটা পার্কের ভিতর যেনো অনেক গুলি পার্ক। আর সে সব পার্কগুলিতে পার্কিং লটও আছে। কোন কোনটিতে খেলার জন্য সব ধরনের সরঞ্জাম রয়েছে। পার্কটির এক প্রান্তে একটি লেক আর সেই লেকে স্বচ্ছ পানি সেই সাথে হাঁস বক এবং নানান রংয়ের ছোট বড় পাখী। সেখানে রাস্তার এপার-ওপার করার জন্য একটা পুল (ব্রিজ) রয়েছে। আমরা সেই পুলের উপরে দাড়িয়ে নীচে পানির দিকে তাকিয়ে দেখলাম মাছ সাঁতার কাটছে আর ঐ দিকে সাদা বক মাছ ধরার জন্য কিনারে ঘাপটি মেরে পানির দিকে চেয়ে চেয়ে মাছের জন্য অপেক্ষা করছে।খেয়াল করলাম সেখানে এক ধরনের বক যার ঠোঁট বেশ লম্বা মানে অন্য বকের চাইতে আর তাদের রংটা একটু ধূসর।
তাঁরাই টপাটপ করে পানির ভিতর থেকে একটার পর একটা মাছ শিকার করছে। আমার সাথী জানালো এটাই কানি বক। কি জানি হতেও পারে। আবার এমনও হতে পারে আমি সব ধরনের বক চিনি না বলে আমাকে হাই কোর্ট দেখালো। যাই হোক এদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। তথাকথিত ধলা ও কালা রংয়ের বক ও গাঙচিল দেখলাম কতক আকাশে ঝাঁক বেধে নীড়ে ফিরছে আবার কিছু পাখী তখনও লেকের স্বচ্ছ পানিতে ভেসে উঠা মাছ শিকারের অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
সূর্য মামা ডুব দেবার জন্য দিগন্তের দিকে চেয়ে আছে আর আমরা ঠিক সে সময় পার্ক থেকে বের হবার জন্য পা বাড়ালাম বাড়ীর পানে। ফেরার সময় পার্কের গাছ গুলি দেখছিলাম, শুনে ছিলাম এই পার্কে নাকি অনেক জাম গাছ সহ আরো অনেক ফলের গাছ আছে সত্য কথা বলতে কি আজ বিকালে পার্কে এসেছিলাম এখানে ঘুরে বেড়াবো আর গাছের তলার ফল কুঁড়াবো বলে।
ফল না পেলেও পার্ক আর এখানকার লেক, পাখী ও সবুজ কার্পেটের মত ঘাস সেইসাথে ব্রিজের উপর থেকে দেখা ভেসে বেড়ানো মাছ গুলি অর্থ্যাৎ আজকের সন্ধাটা বেশ ভালই কাটলো, ফল পাইনি তাতে কি? আর একদিন নিশ্চয়ই পাবো। পার্কে আর একটা জিনিষ দেখলাম, অনেক লোক তা ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক তাদের সাথে একটা কুকুর রয়েছে, নিজেরা যেমন হালকা বায়াম করে ঠিক সে রকম তাদের প্রিয় পশুকেও ট্রেনিং দেয়। এই পার্কে মানুষের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম হলেও পালিত পশুর সংখ্যা অনেক বেশী বলে মনে হলো।
আমার মনে হয়েছিল পার্কে অনেক খাবার দোকান থাকবে? নিদেন পক্ষে চিনা বাদাম তো থাকবেই। কিন্তু না, সে গুড়ে বালি কোন কিছুই নাই। এখানে খেয়ে আবর্জনা যত্র তত্র ফেল্লে জরিমানা। তবে এখানে বনভোজন করার জন্য আলাদা আলাদা স্পট আছে। সেই সাথে বসার জন্য বেঞ্জও আছে, সেখানে খাও দাও খেলো গল্প করো কোন কিছুতেই বাধা নাই কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর তল্পি-তল্পা গুটিয়ে নিলেও যায়গাটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে দিয়ে যেতে হবে।
পার্ক থেকে বের হয়ে মনে মনে চিন্তা করলাম এই পার্কটির নাম কাল্লুশাহ হলো কেন? এখানে কি কোন দরবেশ বা সাধু এসেছিল? পরে জানলাম আসল নামের আঁড়ালে নকল নামই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে কারণ এই পার্কে অন্যদের তুলনায় সাউথ ইস্ট এশিয়ান আমেরিকানদের বসবাস বেশী তাই ভুল উচ্চারনে শেষ পর্যন্ত “ক্যালোসা” হয়ে গেলো কাল্লুশাহ।
পার্কে বা বাড়ীতে এদের পশুপ্রীতি দেখলে চক্ষু চড়াকগাছ হতে হয়। তাদের আবার সকাল বিকাল ভ্রমন না করালে মনিবের ঘুম হারাম হয়ে যাবার উপক্রম হয়। কারো কারো অবস্থা এমন হয় যে, নিজের ছেলে-মেয়েদের চাইতে পশুদের আপন ভাবে।
তবে এটাও ঠিক এখানকার পার্ক গুলিতে ফুলের গাছের চাইতে ফলের গাছের সংখ্যা অনেক বেশী। আর এই পার্কে আবার বেশ কয়েকটি পুকুর বা দীঘি রয়েছে বলাবহুল্য সেখানে প্রচুর মাছও রয়েছে, সে কথাটা তো আগেই বলেছি।
আমরা একদিন দলবল নিয়ে গেলাম কাল্লুশাহ পার্কে। এত বড় পার্ক এবং চারিদিকে গাছ-পালা, সেগুলি এত সুন্দর লাগানো তা দেখতে বেশ লাগে। সেখানে দু’টি বড় বড় পুকুর আছে, আসলে পুকুর বল্লে ভুল হবে, খাল বল্লেই মনে হয় ঠিক হবে। আর একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম একটা পার্কের ভিতর যেনো অনেক গুলি পার্ক। আর সে সব পার্কগুলিতে পার্কিং লটও আছে। কোন কোনটিতে খেলার জন্য সব ধরনের সরঞ্জাম রয়েছে। পার্কটির এক প্রান্তে একটি লেক আর সেই লেকে স্বচ্ছ পানি সেই সাথে হাঁস বক এবং নানান রংয়ের ছোট বড় পাখী। সেখানে রাস্তার এপার-ওপার করার জন্য একটা পুল (ব্রিজ) রয়েছে। আমরা সেই পুলের উপরে দাড়িয়ে নীচে পানির দিকে তাকিয়ে দেখলাম মাছ সাঁতার কাটছে আর ঐ দিকে সাদা বক মাছ ধরার জন্য কিনারে ঘাপটি মেরে পানির দিকে চেয়ে চেয়ে মাছের জন্য অপেক্ষা করছে।খেয়াল করলাম সেখানে এক ধরনের বক যার ঠোঁট বেশ লম্বা মানে অন্য বকের চাইতে আর তাদের রংটা একটু ধূসর।
তাঁরাই টপাটপ করে পানির ভিতর থেকে একটার পর একটা মাছ শিকার করছে। আমার সাথী জানালো এটাই কানি বক। কি জানি হতেও পারে। আবার এমনও হতে পারে আমি সব ধরনের বক চিনি না বলে আমাকে হাই কোর্ট দেখালো। যাই হোক এদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। তথাকথিত ধলা ও কালা রংয়ের বক ও গাঙচিল দেখলাম কতক আকাশে ঝাঁক বেধে নীড়ে ফিরছে আবার কিছু পাখী তখনও লেকের স্বচ্ছ পানিতে ভেসে উঠা মাছ শিকারের অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
সূর্য মামা ডুব দেবার জন্য দিগন্তের দিকে চেয়ে আছে আর আমরা ঠিক সে সময় পার্ক থেকে বের হবার জন্য পা বাড়ালাম বাড়ীর পানে। ফেরার সময় পার্কের গাছ গুলি দেখছিলাম, শুনে ছিলাম এই পার্কে নাকি অনেক জাম গাছ সহ আরো অনেক ফলের গাছ আছে সত্য কথা বলতে কি আজ বিকালে পার্কে এসেছিলাম এখানে ঘুরে বেড়াবো আর গাছের তলার ফল কুঁড়াবো বলে।
ফল না পেলেও পার্ক আর এখানকার লেক, পাখী ও সবুজ কার্পেটের মত ঘাস সেইসাথে ব্রিজের উপর থেকে দেখা ভেসে বেড়ানো মাছ গুলি অর্থ্যাৎ আজকের সন্ধাটা বেশ ভালই কাটলো, ফল পাইনি তাতে কি? আর একদিন নিশ্চয়ই পাবো। পার্কে আর একটা জিনিষ দেখলাম, অনেক লোক তা ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক তাদের সাথে একটা কুকুর রয়েছে, নিজেরা যেমন হালকা বায়াম করে ঠিক সে রকম তাদের প্রিয় পশুকেও ট্রেনিং দেয়। এই পার্কে মানুষের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম হলেও পালিত পশুর সংখ্যা অনেক বেশী বলে মনে হলো।
আমার মনে হয়েছিল পার্কে অনেক খাবার দোকান থাকবে? নিদেন পক্ষে চিনা বাদাম তো থাকবেই। কিন্তু না, সে গুড়ে বালি কোন কিছুই নাই। এখানে খেয়ে আবর্জনা যত্র তত্র ফেল্লে জরিমানা। তবে এখানে বনভোজন করার জন্য আলাদা আলাদা স্পট আছে। সেই সাথে বসার জন্য বেঞ্জও আছে, সেখানে খাও দাও খেলো গল্প করো কোন কিছুতেই বাধা নাই কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর তল্পি-তল্পা গুটিয়ে নিলেও যায়গাটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে দিয়ে যেতে হবে।
পার্ক থেকে বের হয়ে মনে মনে চিন্তা করলাম এই পার্কটির নাম কাল্লুশাহ হলো কেন? এখানে কি কোন দরবেশ বা সাধু এসেছিল? পরে জানলাম আসল নামের আঁড়ালে নকল নামই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে কারণ এই পার্কে অন্যদের তুলনায় সাউথ ইস্ট এশিয়ান আমেরিকানদের বসবাস বেশী তাই ভুল উচ্চারনে শেষ পর্যন্ত “ক্যালোসা” হয়ে গেলো কাল্লুশাহ।
পার্কে বা বাড়ীতে এদের পশুপ্রীতি দেখলে চক্ষু চড়াকগাছ হতে হয়। তাদের আবার সকাল বিকাল ভ্রমন না করালে মনিবের ঘুম হারাম হয়ে যাবার উপক্রম হয়। কারো কারো অবস্থা এমন হয় যে, নিজের ছেলে-মেয়েদের চাইতে পশুদের আপন ভাবে।
তবে এটাও ঠিক এখানকার পার্ক গুলিতে ফুলের গাছের চাইতে ফলের গাছের সংখ্যা অনেক বেশী। আর এই পার্কে আবার বেশ কয়েকটি পুকুর বা দীঘি রয়েছে বলাবহুল্য সেখানে প্রচুর মাছও রয়েছে, সে কথাটা তো আগেই বলেছি।