সাত মাস আগে আমিনুল ইসলামের (৪৫) সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় সুরমা বেগমের (২৫)। এর পর পাঁচ সন্তানের জননী ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা আসে। ভাসানটেকে ‘দয়াল বাবা’ নামে পরিচিত হাসান আলীর কাছে মুরিদ হয়ে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে তার বাসাতেই থাকতে শুরু করে।
এক পর্যায়ে সাবেক স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সংসারে ফিরতে চাইলে গত বুধবার নিতে আসেন আমিনুল। ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে শাবল দিয়ে তাঁকে খুন করে পালিয়ে যায় সুরমা।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ভাসানটেকে ‘দয়াল বাবা’র বাসা থেকে আমিনুলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আঁখি নামে এক সহযোগীসহ হাসান আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
ভাসানটেক থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসনাত খন্দকার বলেন, সুরমা, হাসান আলী ও আঁখি মিলে ঘুমের ওষুধ কিনে আমিনুলকে খাওয়ানোর পরিকল্পনা করে। তবে খুনের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছে হাসান। সুরমাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ বলছে, আমিনুল ও সুরমার বাড়ি ময়মনসিংহের বারোহাট্টা এলাকায়। সাত মাস আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এর পর সুরমা ভাসানটেকে এসে হাসান আলীর পাশের কক্ষে থাকত। ভবনের চার তলায় হাসান এবং দ্বিতীয় তলায় তার স্ত্রী থাকলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ওই বাসায় বিভিন্ন নারী-পুরুষের আনাগোনা রয়েছে। নারীদের সঙ্গে হাসান একান্তে সময় কাটায় বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।গত বুধবার রাতে আসার পর আমিনুল ও সুরমাকে নিয়ে বৈঠক করে হাসান। এক পর্যায়ে সুরমা বলে, দয়াল বাবা, উনাকে (আমিনুল) ওষুধ-পানি খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিই। অনুমতি দিলে আমিনুলকে পাশের কক্ষে নিয়ে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় সুরমা। ঘুমিয়ে পড়লে শাবল চোখের পাশ দিয়ে মাথার ভেতরে ঢুকিয়ে হত্যা করে রাতেই পালিয়ে যায় সুরমা। পরে গতকাল সকালে হাসান নিজেই ৯৯৯-এ ফোন করে খুনের বিষয়টি পুলিশকে জানায়।