ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের যে হুমকি ভ্লাদিমির পুতিন দিয়েছেন তাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন জোটের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল। তাঁর মতে, যুদ্ধ একটি ‘বিপজ্জনক মুহূর্তে’ পৌঁছে গেছে।
রাশিয়ার ইউক্রেনে আরো সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত এবং দেশটির চারটি অঞ্চলকে অধিভুক্ত করার লক্ষ্যে গণভোটের মধ্যে বরেলের এই মন্তব্য এলো।
সম্প্রতি ইউক্রেনের যুদ্ধের ময়দানে অনেক স্থানেই রুশ সেনারা জোরালো পাল্টা আক্রমণের মুখে পিছু হটছে।
বরেল বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই এটি বিপজ্জনক একটি মুহূর্ত, কারণ রাশিয়ার বাহিনীকে একটি কোনায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ’
ইউক্রেন যুদ্ধের সাত মাসে দাঁড়িয়ে বিশ্লেষকরাও এখন একমত যে পুতিনের বাহিনী পিছু হটতে চাইছে। বরেলের মতে, সংঘাত নিরসনে এমন ‘কূটনৈতিক সমাধানে’ পৌঁছানো জরুরি, যা ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখবে’। না হলে এ যুদ্ধ শেষ হলেও শান্তি আসবে না এবং আগামীতে আবার যুদ্ধ হবে।
গত বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, তাঁর দেশের হাতে ‘বহু ধ্বংসাত্মক অস্ত্র রয়েছে’ এবং ‘হাতে থাকা সব কিছুই ব্যবহার করা হবে’। পুতিন এ সময় আরো বলেন তিনি ‘ধাপ্পা দিচ্ছেন না’।
এ প্রসঙ্গে ইইউ এর পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান বলেন, ‘যখন কেউ বলেন তিনি ধাপ্পা দিচ্ছেন না, তখন কথাটা গুরুত্বের সঙ্গেই নিতে হবে। ’
ইইউয়ের এই কূটনীতিক আরো বলেন, ‘ যারা পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে ক্রেমলিনে গিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকে একই উত্তর নিয়ে ফিরেছেন। সেটা হলো আমার (পুতিনের) সামরিক লক্ষ্য রয়েছে এবং আমি লড়াই অব্যাহত রাখব। এই জবাব নিশ্চিতভাবেই উদ্বেগজনক একটি ব্যাপার। তবে আমাদের ইউক্রেনের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে। ’