ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থানাভিত্তিক মাদক ব্যবসায়ীদের যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নামও এসেছে। তালিকা অনুযায়ী, ঢাকার কদমতলী ও শ্যামপুর থানার পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের কেউ মাদক বিক্রির জায়গা (স্পট) থেকে টাকা তোলেন। কেউ কেউ তথ্যদাতার (সোর্স) মাধ্যমে নিজেরাই চালান মাদক ব্যবসা।
মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকাটি তৈরি করা হয় গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগে সেই তালিকা পাঠানো হয়। সূত্র বলছে, সেই তালিকা ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যাঁরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের তালিকায় দেখা যায়, এই বিভাগের ছয় থানায় মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন ৫৮ জন। এঁদের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে শতাধিক। কদমতলীতে পুলিশের তিন কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
ডিএমপির তালিকার বর্ণনা অংশে বলা আছে, কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আলী মোল্লা মো. ইমন ও রকি নামের দুই সোর্সকে দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন। সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনির হোসেন তাঁর সোর্স শুকুর ও স্বপনের মাধ্যমে মাদক কেনাবেচা করেন। আরেক এএসআই আবুল হোসেন সোর্স নাহিদ ও মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে মাদক বিক্রি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে এসআই নুর আলী এবং এএসআই মনির হোসেন ও আবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়; কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তাঁদের বিষয়ে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের একটি তালিকা পেয়ে আমরা নাম আসা পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে তদন্ত করেছি। সেসব সোর্সের নাম এসেছিল, তাঁদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তারপরও আমরা তাঁদের বদলির সুপারিশ করেছিলাম। পরে তাঁদের বদলি করা হয়।’
ডিএমপির মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় রয়েছে শ্যামপুর থানা পুলিশের দুই কর্মকর্তার নাম। তাঁরা হলেন এসআই তন্ময় মণ্ডল ও এএসআই মানিক মিয়া। তাঁরা সোর্স আমিনুর, ঈশান ও শাহীনের মাধ্যমে মাদক বিক্রি করেন বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে তন্ময় মণ্ডল বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। তালিকায় নাম থাকার বিষয়টিও তাঁর জানা নেই।
একই বিষয়ে মুঠোফোনে এএসআই মানিক মিয়ার বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তার (এসএমএস) উত্তর দেননি।
মাদক ব্যবসার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাদক সেবনও করেন। সূত্র জানায়, ডিএমপিকে মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে মাদক পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এ সময়ে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।
ডিএমপি পুরো ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীর তালিকাই করেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তালিকাটি পাওয়া যায়নি। ফলে জানা যায়নি যে আর কোনো পুলিশ সদস্যের নাম ওই তালিকায় রয়েছে কি না।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের তালিকায় দেখা যায়, এই বিভাগের আওতাধীন গেন্ডারিয়া থানা এলাকায় ১১ জন, ওয়ারীতে ৯, কদমতলীতে ১২, শ্যামপুরে ১১, যাত্রাবাড়ীতে ৬ ও ডেমরায় ৯ জন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। মোট মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৫৮। এর মধ্যে ৪৮ জন পুরুষ। ১০ জন নারীর বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
মাদক ব্যবসার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাদক সেবনও করেন। সূত্র জানায়, ডিএমপিকে মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে মাদক পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এ সময়ে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের আওতাধীন ছয় থানা এলাকায় মাদক সেবন ও বিক্রির জায়গা রয়েছে ৭৩টি। পুলিশের তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে কোন জায়গায় কে মাদক ব্যবসা করেন, তা উল্লেখ রয়েছে। যেমন গেন্ডারিয়া থানার ডিস্টিলারি রোডসংলগ্ন মোল্লা মাঠ এলাকায় ইয়াবা ও হেরোইন পাইকারি বিক্রি করেন এক নারী। ধূপখোলা মাঠ এলাকায় ইয়াবা ও ফেনসিডিল পাইকারি বিক্রি করেন এক মাদক ব্যবসায়ী।
মাদক ব্যবসায়ীর নাম ও পরিচয় জানার পরও তাঁরা কীভাবে মাদক ব্যবসা করেন, সে বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা বারবার জামিনে বেরিয়ে মাদক ব্যবসায় যুক্ত হন। মাদক ব্যবসায়ীদের দমনে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়। জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত করে তাঁদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থানাভিত্তিক মাদক ব্যবসায়ীদের যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নামও এসেছে। তালিকা অনুযায়ী, ঢাকার কদমতলী ও শ্যামপুর থানার পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের কেউ মাদক বিক্রির জায়গা (স্পট) থেকে টাকা তোলেন। কেউ কেউ তথ্যদাতার (সোর্স) মাধ্যমে নিজেরাই চালান মাদক ব্যবসা।
মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকাটি তৈরি করা হয় গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগে সেই তালিকা পাঠানো হয়। সূত্র বলছে, সেই তালিকা ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যাঁরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের তালিকায় দেখা যায়, এই বিভাগের ছয় থানায় মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন ৫৮ জন। এঁদের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে শতাধিক। কদমতলীতে পুলিশের তিন কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
ডিএমপির তালিকার বর্ণনা অংশে বলা আছে, কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আলী মোল্লা মো. ইমন ও রকি নামের দুই সোর্সকে দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন। সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনির হোসেন তাঁর সোর্স শুকুর ও স্বপনের মাধ্যমে মাদক কেনাবেচা করেন। আরেক এএসআই আবুল হোসেন সোর্স নাহিদ ও মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে মাদক বিক্রি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে এসআই নুর আলী এবং এএসআই মনির হোসেন ও আবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়; কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তাঁদের বিষয়ে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের একটি তালিকা পেয়ে আমরা নাম আসা পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে তদন্ত করেছি। সেসব সোর্সের নাম এসেছিল, তাঁদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তারপরও আমরা তাঁদের বদলির সুপারিশ করেছিলাম। পরে তাঁদের বদলি করা হয়।’
ডিএমপির মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় রয়েছে শ্যামপুর থানা পুলিশের দুই কর্মকর্তার নাম। তাঁরা হলেন এসআই তন্ময় মণ্ডল ও এএসআই মানিক মিয়া। তাঁরা সোর্স আমিনুর, ঈশান ও শাহীনের মাধ্যমে মাদক বিক্রি করেন বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে তন্ময় মণ্ডল বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। তালিকায় নাম থাকার বিষয়টিও তাঁর জানা নেই।
একই বিষয়ে মুঠোফোনে এএসআই মানিক মিয়ার বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তার (এসএমএস) উত্তর দেননি।
মাদক ব্যবসার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাদক সেবনও করেন। সূত্র জানায়, ডিএমপিকে মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে মাদক পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এ সময়ে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।
ডিএমপি পুরো ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীর তালিকাই করেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তালিকাটি পাওয়া যায়নি। ফলে জানা যায়নি যে আর কোনো পুলিশ সদস্যের নাম ওই তালিকায় রয়েছে কি না।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের তালিকায় দেখা যায়, এই বিভাগের আওতাধীন গেন্ডারিয়া থানা এলাকায় ১১ জন, ওয়ারীতে ৯, কদমতলীতে ১২, শ্যামপুরে ১১, যাত্রাবাড়ীতে ৬ ও ডেমরায় ৯ জন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। মোট মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৫৮। এর মধ্যে ৪৮ জন পুরুষ। ১০ জন নারীর বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
মাদক ব্যবসার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাদক সেবনও করেন। সূত্র জানায়, ডিএমপিকে মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে মাদক পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এ সময়ে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের আওতাধীন ছয় থানা এলাকায় মাদক সেবন ও বিক্রির জায়গা রয়েছে ৭৩টি। পুলিশের তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে কোন জায়গায় কে মাদক ব্যবসা করেন, তা উল্লেখ রয়েছে। যেমন গেন্ডারিয়া থানার ডিস্টিলারি রোডসংলগ্ন মোল্লা মাঠ এলাকায় ইয়াবা ও হেরোইন পাইকারি বিক্রি করেন এক নারী। ধূপখোলা মাঠ এলাকায় ইয়াবা ও ফেনসিডিল পাইকারি বিক্রি করেন এক মাদক ব্যবসায়ী।
মাদক ব্যবসায়ীর নাম ও পরিচয় জানার পরও তাঁরা কীভাবে মাদক ব্যবসা করেন, সে বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা বারবার জামিনে বেরিয়ে মাদক ব্যবসায় যুক্ত হন। মাদক ব্যবসায়ীদের দমনে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়। জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত করে তাঁদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থানাভিত্তিক মাদক ব্যবসায়ীদের যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নামও এসেছে। তালিকা অনুযায়ী, ঢাকার কদমতলী ও শ্যামপুর থানার পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের কেউ মাদক বিক্রির জায়গা (স্পট) থেকে টাকা তোলেন। কেউ কেউ তথ্যদাতার (সোর্স) মাধ্যমে নিজেরাই চালান মাদক ব্যবসা।
মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকাটি তৈরি করা হয় গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগে সেই তালিকা পাঠানো হয়। সূত্র বলছে, সেই তালিকা ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যাঁরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের তালিকায় দেখা যায়, এই বিভাগের ছয় থানায় মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন ৫৮ জন। এঁদের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে শতাধিক। কদমতলীতে পুলিশের তিন কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
ডিএমপির তালিকার বর্ণনা অংশে বলা আছে, কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আলী মোল্লা মো. ইমন ও রকি নামের দুই সোর্সকে দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন। সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনির হোসেন তাঁর সোর্স শুকুর ও স্বপনের মাধ্যমে মাদক কেনাবেচা করেন। আরেক এএসআই আবুল হোসেন সোর্স নাহিদ ও মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে মাদক বিক্রি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে এসআই নুর আলী এবং এএসআই মনির হোসেন ও আবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়; কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তাঁদের বিষয়ে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের একটি তালিকা পেয়ে আমরা নাম আসা পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে তদন্ত করেছি। সেসব সোর্সের নাম এসেছিল, তাঁদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তারপরও আমরা তাঁদের বদলির সুপারিশ করেছিলাম। পরে তাঁদের বদলি করা হয়।’
ডিএমপির মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় রয়েছে শ্যামপুর থানা পুলিশের দুই কর্মকর্তার নাম। তাঁরা হলেন এসআই তন্ময় মণ্ডল ও এএসআই মানিক মিয়া। তাঁরা সোর্স আমিনুর, ঈশান ও শাহীনের মাধ্যমে মাদক বিক্রি করেন বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে তন্ময় মণ্ডল বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। তালিকায় নাম থাকার বিষয়টিও তাঁর জানা নেই।
একই বিষয়ে মুঠোফোনে এএসআই মানিক মিয়ার বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তার (এসএমএস) উত্তর দেননি।
মাদক ব্যবসার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাদক সেবনও করেন। সূত্র জানায়, ডিএমপিকে মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে মাদক পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এ সময়ে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।
ডিএমপি পুরো ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীর তালিকাই করেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তালিকাটি পাওয়া যায়নি। ফলে জানা যায়নি যে আর কোনো পুলিশ সদস্যের নাম ওই তালিকায় রয়েছে কি না।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের তালিকায় দেখা যায়, এই বিভাগের আওতাধীন গেন্ডারিয়া থানা এলাকায় ১১ জন, ওয়ারীতে ৯, কদমতলীতে ১২, শ্যামপুরে ১১, যাত্রাবাড়ীতে ৬ ও ডেমরায় ৯ জন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। মোট মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৫৮। এর মধ্যে ৪৮ জন পুরুষ। ১০ জন নারীর বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
মাদক ব্যবসার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাদক সেবনও করেন। সূত্র জানায়, ডিএমপিকে মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে মাদক পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এ সময়ে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের আওতাধীন ছয় থানা এলাকায় মাদক সেবন ও বিক্রির জায়গা রয়েছে ৭৩টি। পুলিশের তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে কোন জায়গায় কে মাদক ব্যবসা করেন, তা উল্লেখ রয়েছে। যেমন গেন্ডারিয়া থানার ডিস্টিলারি রোডসংলগ্ন মোল্লা মাঠ এলাকায় ইয়াবা ও হেরোইন পাইকারি বিক্রি করেন এক নারী। ধূপখোলা মাঠ এলাকায় ইয়াবা ও ফেনসিডিল পাইকারি বিক্রি করেন এক মাদক ব্যবসায়ী।
মাদক ব্যবসায়ীর নাম ও পরিচয় জানার পরও তাঁরা কীভাবে মাদক ব্যবসা করেন, সে বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা বারবার জামিনে বেরিয়ে মাদক ব্যবসায় যুক্ত হন। মাদক ব্যবসায়ীদের দমনে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়। জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত করে তাঁদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থানাভিত্তিক মাদক ব্যবসায়ীদের যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নামও এসেছে। তালিকা অনুযায়ী, ঢাকার কদমতলী ও শ্যামপুর থানার পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের কেউ মাদক বিক্রির জায়গা (স্পট) থেকে টাকা তোলেন। কেউ কেউ তথ্যদাতার (সোর্স) মাধ্যমে নিজেরাই চালান মাদক ব্যবসা।
মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকাটি তৈরি করা হয় গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগে সেই তালিকা পাঠানো হয়। সূত্র বলছে, সেই তালিকা ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যাঁরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের তালিকায় দেখা যায়, এই বিভাগের ছয় থানায় মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন ৫৮ জন। এঁদের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে শতাধিক। কদমতলীতে পুলিশের তিন কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
ডিএমপির তালিকার বর্ণনা অংশে বলা আছে, কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আলী মোল্লা মো. ইমন ও রকি নামের দুই সোর্সকে দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন। সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনির হোসেন তাঁর সোর্স শুকুর ও স্বপনের মাধ্যমে মাদক কেনাবেচা করেন। আরেক এএসআই আবুল হোসেন সোর্স নাহিদ ও মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে মাদক বিক্রি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে এসআই নুর আলী এবং এএসআই মনির হোসেন ও আবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়; কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তাঁদের বিষয়ে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের একটি তালিকা পেয়ে আমরা নাম আসা পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে তদন্ত করেছি। সেসব সোর্সের নাম এসেছিল, তাঁদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তারপরও আমরা তাঁদের বদলির সুপারিশ করেছিলাম। পরে তাঁদের বদলি করা হয়।’
ডিএমপির মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় রয়েছে শ্যামপুর থানা পুলিশের দুই কর্মকর্তার নাম। তাঁরা হলেন এসআই তন্ময় মণ্ডল ও এএসআই মানিক মিয়া। তাঁরা সোর্স আমিনুর, ঈশান ও শাহীনের মাধ্যমে মাদক বিক্রি করেন বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে তন্ময় মণ্ডল বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। তালিকায় নাম থাকার বিষয়টিও তাঁর জানা নেই।
একই বিষয়ে মুঠোফোনে এএসআই মানিক মিয়ার বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তার (এসএমএস) উত্তর দেননি।
মাদক ব্যবসার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাদক সেবনও করেন। সূত্র জানায়, ডিএমপিকে মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে মাদক পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এ সময়ে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।
ডিএমপি পুরো ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীর তালিকাই করেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তালিকাটি পাওয়া যায়নি। ফলে জানা যায়নি যে আর কোনো পুলিশ সদস্যের নাম ওই তালিকায় রয়েছে কি না।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের তালিকায় দেখা যায়, এই বিভাগের আওতাধীন গেন্ডারিয়া থানা এলাকায় ১১ জন, ওয়ারীতে ৯, কদমতলীতে ১২, শ্যামপুরে ১১, যাত্রাবাড়ীতে ৬ ও ডেমরায় ৯ জন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। মোট মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৫৮। এর মধ্যে ৪৮ জন পুরুষ। ১০ জন নারীর বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
মাদক ব্যবসার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাদক সেবনও করেন। সূত্র জানায়, ডিএমপিকে মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে মাদক পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এ সময়ে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের আওতাধীন ছয় থানা এলাকায় মাদক সেবন ও বিক্রির জায়গা রয়েছে ৭৩টি। পুলিশের তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে কোন জায়গায় কে মাদক ব্যবসা করেন, তা উল্লেখ রয়েছে। যেমন গেন্ডারিয়া থানার ডিস্টিলারি রোডসংলগ্ন মোল্লা মাঠ এলাকায় ইয়াবা ও হেরোইন পাইকারি বিক্রি করেন এক নারী। ধূপখোলা মাঠ এলাকায় ইয়াবা ও ফেনসিডিল পাইকারি বিক্রি করেন এক মাদক ব্যবসায়ী।
মাদক ব্যবসায়ীর নাম ও পরিচয় জানার পরও তাঁরা কীভাবে মাদক ব্যবসা করেন, সে বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা বারবার জামিনে বেরিয়ে মাদক ব্যবসায় যুক্ত হন। মাদক ব্যবসায়ীদের দমনে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়। জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত করে তাঁদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থানাভিত্তিক মাদক ব্যবসায়ীদের যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নামও এসেছে। তালিকা অনুযায়ী, ঢাকার কদমতলী ও শ্যামপুর থানার পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের কেউ মাদক বিক্রির জায়গা (স্পট) থেকে টাকা তোলেন। কেউ কেউ তথ্যদাতার (সোর্স) মাধ্যমে নিজেরাই চালান মাদক ব্যবসা।
মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকাটি তৈরি করা হয় গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগে সেই তালিকা পাঠানো হয়। সূত্র বলছে, সেই তালিকা ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যাঁরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের তালিকায় দেখা যায়, এই বিভাগের ছয় থানায় মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন ৫৮ জন। এঁদের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে শতাধিক। কদমতলীতে পুলিশের তিন কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
ডিএমপির তালিকার বর্ণনা অংশে বলা আছে, কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আলী মোল্লা মো. ইমন ও রকি নামের দুই সোর্সকে দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন। সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনির হোসেন তাঁর সোর্স শুকুর ও স্বপনের মাধ্যমে মাদক কেনাবেচা করেন। আরেক এএসআই আবুল হোসেন সোর্স নাহিদ ও মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে মাদক বিক্রি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে এসআই নুর আলী এবং এএসআই মনির হোসেন ও আবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়; কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তাঁদের বিষয়ে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের একটি তালিকা পেয়ে আমরা নাম আসা পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে তদন্ত করেছি। সেসব সোর্সের নাম এসেছিল, তাঁদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তারপরও আমরা তাঁদের বদলির সুপারিশ করেছিলাম। পরে তাঁদের বদলি করা হয়।’
ডিএমপির মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় রয়েছে শ্যামপুর থানা পুলিশের দুই কর্মকর্তার নাম। তাঁরা হলেন এসআই তন্ময় মণ্ডল ও এএসআই মানিক মিয়া। তাঁরা সোর্স আমিনুর, ঈশান ও শাহীনের মাধ্যমে মাদক বিক্রি করেন বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে তন্ময় মণ্ডল বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। তালিকায় নাম থাকার বিষয়টিও তাঁর জানা নেই।
একই বিষয়ে মুঠোফোনে এএসআই মানিক মিয়ার বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তার (এসএমএস) উত্তর দেননি।
মাদক ব্যবসার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাদক সেবনও করেন। সূত্র জানায়, ডিএমপিকে মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে মাদক পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এ সময়ে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।
ডিএমপি পুরো ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীর তালিকাই করেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তালিকাটি পাওয়া যায়নি। ফলে জানা যায়নি যে আর কোনো পুলিশ সদস্যের নাম ওই তালিকায় রয়েছে কি না।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের তালিকায় দেখা যায়, এই বিভাগের আওতাধীন গেন্ডারিয়া থানা এলাকায় ১১ জন, ওয়ারীতে ৯, কদমতলীতে ১২, শ্যামপুরে ১১, যাত্রাবাড়ীতে ৬ ও ডেমরায় ৯ জন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। মোট মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৫৮। এর মধ্যে ৪৮ জন পুরুষ। ১০ জন নারীর বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
মাদক ব্যবসার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাদক সেবনও করেন। সূত্র জানায়, ডিএমপিকে মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে মাদক পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এ সময়ে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের আওতাধীন ছয় থানা এলাকায় মাদক সেবন ও বিক্রির জায়গা রয়েছে ৭৩টি। পুলিশের তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে কোন জায়গায় কে মাদক ব্যবসা করেন, তা উল্লেখ রয়েছে। যেমন গেন্ডারিয়া থানার ডিস্টিলারি রোডসংলগ্ন মোল্লা মাঠ এলাকায় ইয়াবা ও হেরোইন পাইকারি বিক্রি করেন এক নারী। ধূপখোলা মাঠ এলাকায় ইয়াবা ও ফেনসিডিল পাইকারি বিক্রি করেন এক মাদক ব্যবসায়ী।
মাদক ব্যবসায়ীর নাম ও পরিচয় জানার পরও তাঁরা কীভাবে মাদক ব্যবসা করেন, সে বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা বারবার জামিনে বেরিয়ে মাদক ব্যবসায় যুক্ত হন। মাদক ব্যবসায়ীদের দমনে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়। জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত করে তাঁদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থানাভিত্তিক মাদক ব্যবসায়ীদের যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নামও এসেছে। তালিকা অনুযায়ী, ঢাকার কদমতলী ও শ্যামপুর থানার পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের কেউ মাদক বিক্রির জায়গা (স্পট) থেকে টাকা তোলেন। কেউ কেউ তথ্যদাতার (সোর্স) মাধ্যমে নিজেরাই চালান মাদক ব্যবসা।
মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকাটি তৈরি করা হয় গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগে সেই তালিকা পাঠানো হয়। সূত্র বলছে, সেই তালিকা ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যাঁরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের তালিকায় দেখা যায়, এই বিভাগের ছয় থানায় মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন ৫৮ জন। এঁদের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে শতাধিক। কদমতলীতে পুলিশের তিন কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
ডিএমপির তালিকার বর্ণনা অংশে বলা আছে, কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আলী মোল্লা মো. ইমন ও রকি নামের দুই সোর্সকে দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন। সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনির হোসেন তাঁর সোর্স শুকুর ও স্বপনের মাধ্যমে মাদক কেনাবেচা করেন। আরেক এএসআই আবুল হোসেন সোর্স নাহিদ ও মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে মাদক বিক্রি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে এসআই নুর আলী এবং এএসআই মনির হোসেন ও আবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়; কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তাঁদের বিষয়ে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের একটি তালিকা পেয়ে আমরা নাম আসা পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে তদন্ত করেছি। সেসব সোর্সের নাম এসেছিল, তাঁদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তারপরও আমরা তাঁদের বদলির সুপারিশ করেছিলাম। পরে তাঁদের বদলি করা হয়।’
ডিএমপির মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় রয়েছে শ্যামপুর থানা পুলিশের দুই কর্মকর্তার নাম। তাঁরা হলেন এসআই তন্ময় মণ্ডল ও এএসআই মানিক মিয়া। তাঁরা সোর্স আমিনুর, ঈশান ও শাহীনের মাধ্যমে মাদক বিক্রি করেন বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে তন্ময় মণ্ডল বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। তালিকায় নাম থাকার বিষয়টিও তাঁর জানা নেই।
একই বিষয়ে মুঠোফোনে এএসআই মানিক মিয়ার বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তার (এসএমএস) উত্তর দেননি।
মাদক ব্যবসার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাদক সেবনও করেন। সূত্র জানায়, ডিএমপিকে মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে মাদক পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এ সময়ে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।
ডিএমপি পুরো ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীর তালিকাই করেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তালিকাটি পাওয়া যায়নি। ফলে জানা যায়নি যে আর কোনো পুলিশ সদস্যের নাম ওই তালিকায় রয়েছে কি না।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের তালিকায় দেখা যায়, এই বিভাগের আওতাধীন গেন্ডারিয়া থানা এলাকায় ১১ জন, ওয়ারীতে ৯, কদমতলীতে ১২, শ্যামপুরে ১১, যাত্রাবাড়ীতে ৬ ও ডেমরায় ৯ জন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। মোট মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৫৮। এর মধ্যে ৪৮ জন পুরুষ। ১০ জন নারীর বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
মাদক ব্যবসার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাদক সেবনও করেন। সূত্র জানায়, ডিএমপিকে মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে মাদক পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এ সময়ে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের আওতাধীন ছয় থানা এলাকায় মাদক সেবন ও বিক্রির জায়গা রয়েছে ৭৩টি। পুলিশের তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে কোন জায়গায় কে মাদক ব্যবসা করেন, তা উল্লেখ রয়েছে। যেমন গেন্ডারিয়া থানার ডিস্টিলারি রোডসংলগ্ন মোল্লা মাঠ এলাকায় ইয়াবা ও হেরোইন পাইকারি বিক্রি করেন এক নারী। ধূপখোলা মাঠ এলাকায় ইয়াবা ও ফেনসিডিল পাইকারি বিক্রি করেন এক মাদক ব্যবসায়ী।
মাদক ব্যবসায়ীর নাম ও পরিচয় জানার পরও তাঁরা কীভাবে মাদক ব্যবসা করেন, সে বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা বারবার জামিনে বেরিয়ে মাদক ব্যবসায় যুক্ত হন। মাদক ব্যবসায়ীদের দমনে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়। জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত করে তাঁদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থানাভিত্তিক মাদক ব্যবসায়ীদের যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নামও এসেছে। তালিকা অনুযায়ী, ঢাকার কদমতলী ও শ্যামপুর থানার পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের কেউ মাদক বিক্রির জায়গা (স্পট) থেকে টাকা তোলেন। কেউ কেউ তথ্যদাতার (সোর্স) মাধ্যমে নিজেরাই চালান মাদক ব্যবসা।
মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকাটি তৈরি করা হয় গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগে সেই তালিকা পাঠানো হয়। সূত্র বলছে, সেই তালিকা ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যাঁরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের তালিকায় দেখা যায়, এই বিভাগের ছয় থানায় মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন ৫৮ জন। এঁদের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে শতাধিক। কদমতলীতে পুলিশের তিন কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
ডিএমপির তালিকার বর্ণনা অংশে বলা আছে, কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আলী মোল্লা মো. ইমন ও রকি নামের দুই সোর্সকে দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন। সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনির হোসেন তাঁর সোর্স শুকুর ও স্বপনের মাধ্যমে মাদক কেনাবেচা করেন। আরেক এএসআই আবুল হোসেন সোর্স নাহিদ ও মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে মাদক বিক্রি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে এসআই নুর আলী এবং এএসআই মনির হোসেন ও আবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়; কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তাঁদের বিষয়ে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের একটি তালিকা পেয়ে আমরা নাম আসা পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে তদন্ত করেছি। সেসব সোর্সের নাম এসেছিল, তাঁদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তারপরও আমরা তাঁদের বদলির সুপারিশ করেছিলাম। পরে তাঁদের বদলি করা হয়।’
ডিএমপির মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় রয়েছে শ্যামপুর থানা পুলিশের দুই কর্মকর্তার নাম। তাঁরা হলেন এসআই তন্ময় মণ্ডল ও এএসআই মানিক মিয়া। তাঁরা সোর্স আমিনুর, ঈশান ও শাহীনের মাধ্যমে মাদক বিক্রি করেন বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে তন্ময় মণ্ডল বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। তালিকায় নাম থাকার বিষয়টিও তাঁর জানা নেই।
একই বিষয়ে মুঠোফোনে এএসআই মানিক মিয়ার বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তার (এসএমএস) উত্তর দেননি।
মাদক ব্যবসার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাদক সেবনও করেন। সূত্র জানায়, ডিএমপিকে মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে মাদক পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এ সময়ে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।
ডিএমপি পুরো ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীর তালিকাই করেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তালিকাটি পাওয়া যায়নি। ফলে জানা যায়নি যে আর কোনো পুলিশ সদস্যের নাম ওই তালিকায় রয়েছে কি না।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের তালিকায় দেখা যায়, এই বিভাগের আওতাধীন গেন্ডারিয়া থানা এলাকায় ১১ জন, ওয়ারীতে ৯, কদমতলীতে ১২, শ্যামপুরে ১১, যাত্রাবাড়ীতে ৬ ও ডেমরায় ৯ জন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। মোট মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৫৮। এর মধ্যে ৪৮ জন পুরুষ। ১০ জন নারীর বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
মাদক ব্যবসার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাদক সেবনও করেন। সূত্র জানায়, ডিএমপিকে মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে মাদক পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এ সময়ে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের আওতাধীন ছয় থানা এলাকায় মাদক সেবন ও বিক্রির জায়গা রয়েছে ৭৩টি। পুলিশের তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে কোন জায়গায় কে মাদক ব্যবসা করেন, তা উল্লেখ রয়েছে। যেমন গেন্ডারিয়া থানার ডিস্টিলারি রোডসংলগ্ন মোল্লা মাঠ এলাকায় ইয়াবা ও হেরোইন পাইকারি বিক্রি করেন এক নারী। ধূপখোলা মাঠ এলাকায় ইয়াবা ও ফেনসিডিল পাইকারি বিক্রি করেন এক মাদক ব্যবসায়ী।
মাদক ব্যবসায়ীর নাম ও পরিচয় জানার পরও তাঁরা কীভাবে মাদক ব্যবসা করেন, সে বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা বারবার জামিনে বেরিয়ে মাদক ব্যবসায় যুক্ত হন। মাদক ব্যবসায়ীদের দমনে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়। জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত করে তাঁদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থানাভিত্তিক মাদক ব্যবসায়ীদের যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নামও এসেছে। তালিকা অনুযায়ী, ঢাকার কদমতলী ও শ্যামপুর থানার পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের কেউ মাদক বিক্রির জায়গা (স্পট) থেকে টাকা তোলেন। কেউ কেউ তথ্যদাতার (সোর্স) মাধ্যমে নিজেরাই চালান মাদক ব্যবসা।
মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকাটি তৈরি করা হয় গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগে সেই তালিকা পাঠানো হয়। সূত্র বলছে, সেই তালিকা ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যাঁরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের তালিকায় দেখা যায়, এই বিভাগের ছয় থানায় মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন ৫৮ জন। এঁদের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে শতাধিক। কদমতলীতে পুলিশের তিন কর্মকর্তা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
ডিএমপির তালিকার বর্ণনা অংশে বলা আছে, কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আলী মোল্লা মো. ইমন ও রকি নামের দুই সোর্সকে দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন। সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনির হোসেন তাঁর সোর্স শুকুর ও স্বপনের মাধ্যমে মাদক কেনাবেচা করেন। আরেক এএসআই আবুল হোসেন সোর্স নাহিদ ও মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে মাদক বিক্রি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে এসআই নুর আলী এবং এএসআই মনির হোসেন ও আবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়; কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তাঁদের বিষয়ে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের একটি তালিকা পেয়ে আমরা নাম আসা পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে তদন্ত করেছি। সেসব সোর্সের নাম এসেছিল, তাঁদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তারপরও আমরা তাঁদের বদলির সুপারিশ করেছিলাম। পরে তাঁদের বদলি করা হয়।’
ডিএমপির মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় রয়েছে শ্যামপুর থানা পুলিশের দুই কর্মকর্তার নাম। তাঁরা হলেন এসআই তন্ময় মণ্ডল ও এএসআই মানিক মিয়া। তাঁরা সোর্স আমিনুর, ঈশান ও শাহীনের মাধ্যমে মাদক বিক্রি করেন বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে তন্ময় মণ্ডল বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। তালিকায় নাম থাকার বিষয়টিও তাঁর জানা নেই।
একই বিষয়ে মুঠোফোনে এএসআই মানিক মিয়ার বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তার (এসএমএস) উত্তর দেননি।
মাদক ব্যবসার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাদক সেবনও করেন। সূত্র জানায়, ডিএমপিকে মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে মাদক পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এ সময়ে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।
ডিএমপি পুরো ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীর তালিকাই করেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তালিকাটি পাওয়া যায়নি। ফলে জানা যায়নি যে আর কোনো পুলিশ সদস্যের নাম ওই তালিকায় রয়েছে কি না।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের তালিকায় দেখা যায়, এই বিভাগের আওতাধীন গেন্ডারিয়া থানা এলাকায় ১১ জন, ওয়ারীতে ৯, কদমতলীতে ১২, শ্যামপুরে ১১, যাত্রাবাড়ীতে ৬ ও ডেমরায় ৯ জন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। মোট মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৫৮। এর মধ্যে ৪৮ জন পুরুষ। ১০ জন নারীর বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
মাদক ব্যবসার অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি পুলিশের কোনো কোনো সদস্য মাদক সেবনও করেন। সূত্র জানায়, ডিএমপিকে মাদকমুক্ত করতে তিন বছর আগে মাদক পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এ সময়ে কনস্টেবল থেকে এসআই পদমর্যাদার ১২৬ জন মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের আওতাধীন ছয় থানা এলাকায় মাদক সেবন ও বিক্রির জায়গা রয়েছে ৭৩টি। পুলিশের তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে কোন জায়গায় কে মাদক ব্যবসা করেন, তা উল্লেখ রয়েছে। যেমন গেন্ডারিয়া থানার ডিস্টিলারি রোডসংলগ্ন মোল্লা মাঠ এলাকায় ইয়াবা ও হেরোইন পাইকারি বিক্রি করেন এক নারী। ধূপখোলা মাঠ এলাকায় ইয়াবা ও ফেনসিডিল পাইকারি বিক্রি করেন এক মাদক ব্যবসায়ী।
মাদক ব্যবসায়ীর নাম ও পরিচয় জানার পরও তাঁরা কীভাবে মাদক ব্যবসা করেন, সে বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা বারবার জামিনে বেরিয়ে মাদক ব্যবসায় যুক্ত হন। মাদক ব্যবসায়ীদের দমনে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, বদলি কোনো শাস্তি নয়। জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত করে তাঁদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।