দিল্লির ‘রবিনহুড’ খ্যাত ওয়াসিম আকরাম (২৭) ওরফে লম্বুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যিনি ২৫ জন পুরুষের একটি শক্তিশালী গ্যাংকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তার একমাত্র টার্গেট ছিল ধনী এলাকা। শুধু ধনীদের বাড়ি থেকেই টাকা, গয়না চুরি করতেন তিনি। আর চুরির টাকার একটা অংশ হাতে তুলে দিতেন গরিব মানুষদের হাতে। আর এ কারণেই তার নাম হয় দিল্লির রবিনহুড।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৫ মামলার ওয়ান্টেড আসামি ওয়াসিম আকরামের বিরুদ্ধে ১২৫টির বেশি মামলা ছিল। নতুন করে হয়েছে আরও ১৫টি। দিল্লির বিভিন্ন আদালতে ২০টি ফৌজদারি মামলায় তাকে দোষী ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে।
খবরে আরও বলা হয়, জাহাঙ্গীরপুরীর সিডি ব্লকে ওয়াসিম ‘রবিন হুড’ নামে পরিচিত। কারণ সে দরিদ্রদের আর্থিকভাবে সাহায্য করে। এ কারণে এলাকায় তার অনেক অনুসারী রয়েছে। তারাই পুলিশের গতিবিধি ওয়াসিমকে জানিয়ে দিত।
ভারতীয় পুলিশের স্পেশাল সেলের ডেপুটি কমিশনার জসমিত সিং জানান, ইন্সপেক্টর শিব কুমার ও এসিপি আত্তার সিংয়ের নেতৃত্বে স্পেশাল সেলের একটি দল ওয়াসিমকে জাহাঙ্গীরপুরী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
জসমিত বলেন, ওয়াসিমকে ১৯ আগস্ট ভোরে দিল্লির আনন্দ বিহার রেলস্টেশনের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে তিনটি কার্তুজসহ পয়েন্ট থ্রিওয়ানফাইভ বোরের একটি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে। সে ৩৫টি ফৌজদারি মামলায় ওয়ান্টেড ছিল।
তিনি আরও বলেন, এসবের মধ্যে আছে, গত বছরের ৩০ জুন আইএসবিটি কাশ্মীরে গেটের কাছে পুলিশের ওপর গুলি চালানোর মামলা। গ্রেপ্তার এড়াতে ওয়াসিম প্রায়ই দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং হরিয়ানায় তার আস্তানা এবং অবস্থান পরিবর্তন করত। আমাদের কাছে তথ্য ছিল, ওই এলাকায় একজনের সঙ্গে দেখা করতে আসছে ওয়াসিম। আমরা আগে থেকেই সেখানে প্রস্তুত ছিলাম।
জসমিত সিং বলেন, ২৫ জনের একটি ডাকাত দলের নেতা ওয়াসিম। তারা দিল্লির ধনী এলাকাগুলোর তালাবদ্ধ বাড়িগুলো দিনের বেলায় দেখে রাখত, রাতে তালা ভেঙে নগদ অর্থ ও স্বর্ণ চুরি করত।
পুলিশ জানায়, ২০২১ সালের ৩০ জুন ওয়াসিম তার চার সহযোগীকে নিয়ে একটি ওয়াগন-আর গাড়িতে করে কোটলা মোবারকপুর এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল। কোটলা মোবারকপুর থানার পুলিশ তাদের সন্দেহ করে ধাওয়া করে।
আইএসবিটি কাশ্মীরে গেটের কাছে গাড়িটিকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। এ সময় গাড়িতে ৫ জন ছিল। ওয়াসিম ও তার এক সঙ্গী পুলিশের ওপর গুলি ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে ওয়াসিম পালিয়ে গেলেও, ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে