দারুণ ওপেনিং জুটির পর দ্রুত চার উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল উইন্ডিজ। তবে কাইল মেয়ার্স এবং জার্মেইন ব্ল্যাকউডের দারুণ ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকরা ঘুরে দাঁড়িয়ে লিড নিয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৩৭ রান। ব্ল্যাকউড (৩৫*) আর মেয়ার্সের (৫৫*) অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে ইতোমধ্যেই ১০৭* রান এসে গেছে।
বিনা উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা ক্যারিবিয়ানদের ওপেনিং জুটি ভেঙেছে দলীয় ১০০ রানে। ৭৯ বলে ৪৫ রান করা জন ক্যাম্পবেলকে নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসবন্দি করে প্রথম ব্রেক থ্রু দিয়েছেন হুট করে ডাক পাওয়া শরীফুল। এরপর দ্রুত আরও তিন উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। স্কোরবোর্ডে ৩১ রান যোগ হতেই অপর ওপেনার ক্রেইগ ব্রাফেটকে (৫১) বোল্ড করে দেন মেহেদি মিরাজ। পরের ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন খালেদ। ৩৯তম ওভারের প্রথম বলে তিনি বোল্ড করেন রেমন রেইফারকে (২২)। শেষ বলে বোল্ড হয়ে যান এনক্রুমা বোনার (০)। এরপর প্রতিরোধ গড়েন কাইল মেয়ার্স এবং জার্মেইন ব্ল্যাকউড।
এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন লিটন কুমার দাস। ইনিংসটি খেলার পথে তিনি প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে চলতি বছরে এক হাজার রানে পৌঁছে গেছেন। এই একটাই ফিফটি আছে বাংলাদেশের ইনিংসে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান তামিম ইকবালের। এ ছাড়া মমিনুল হকের জায়গায় সাত বছর ৯ মাস পর সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় ২৩ রান করেন। ব্যর্থতা অব্যাহত রাখেন নাজমুল হোসেন শান্ত (২৬)। লোয়ার অর্ডারে শরীফুল ইসলামের ১৭ বলে ২৬ আর খালেদ আহমেদের অপরাজিত ২১* রানে বাংলাদেশের স্কোর ২৩৪-এ গিয়ে থামে।