দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হার দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করল ভারত। প্রোটিয়াদের দেওয়া ২৫০ রানের টার্গেটে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করে শিখর ধাওয়ানের দল। শুরুর দিকে মন্থর ব্যাটিংয়ের কারণে শেষ পর্যন্ত ৯ রানে হারতে হয়েছে ভারতকে। এদিন রোহিত-কোহলিহীন দলে নেতৃত্ব দেন শিখর ধাওয়ান।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান। দুই ওপেনার কুইন্টন ডি’কক এবং জানেমন মালান ৪৯ রানের জুটি গড়েন। ভারতকে প্রথম উইকেট এনে দেন শার্দুল ঠাকুর। তার বলে আউট হন জানেমন। ২২ করে শ্রেয়স আয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
পরে ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি টেম্বা বাভুমাও। তিনি ফেরেন মাত্র ৮ রান করে। শার্দুলের বলে বোল্ড হন তিনি। এডেন মার্করামকে ফেরান কুলদীপ যাদব। কোনো রান না করেই আউট হন মার্করাম। কুলদীপের বল বুঝতে না পেরে বোল্ড হন তিনি। ৪৮ করে আউট হন ডি’কক। তার উইকেট নেন রবি বিষ্ণোই। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে উইকেট পান তিনি।
১১০ রানে চার উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দল যখন বেকায়দায়, সেই সময় দলের হাল ধরেন হেনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার। ১৩৯ রানের জুটি গড়েন তারা। ভারতের বোলারদের সব দাপট শেষ হয়ে যায় তাদের সামনে। ক্লাসেন অপরাজিত থাকেন ৭৪ রানে। মিলার অপরাজিত ৭৫ রানে। শেষ পাঁচ ওভারে ৫৪ রান তোলেন তারা। এতে তাদের রান গিয়ে দাঁড়ায় ২৪৯-এ। তবে বৃষ্টির জন্য এদিন ৪০ ওভারের খেলা হয়।
ভারতের হয়ে মোহম্মদ সিরাজ ৮ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। আবেশ খান ৮ ওভারে দেন ৫১ রান। তিনিও কোনো উইকেট পাননি। শার্দুল ঠাকুর নেন দু’টি উইকেট। তিনি ৮ ওভারে দেন ৩৫ রান। রবি বিষ্ণোই একটি উইকেট নিলেও আট ওভারে দেন ৬৯ রান। কুলদীপ যাদব ৮ ওভারে একটি উইকেট নিয়ে দেন ৩৯ রান।
রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৮ রানের মাথায় দুই ওপেনারকেই হারায় ভারত। শুভমন গিলকে বোল্ড করেন কাগিসো রাবাদা। মাত্র তিন রান করে ফেরেন শুভমন। ধাওয়ান করেন চার রান। তিনি বোল্ড হন ওয়েন পার্নেলের বলে। ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রুতুরাজ গায়কোয়াড। ৪২ বলে ১৯ রান করে আউট হন তিনি। তাবরেজ শামসির বলে আউট হন রুতুরাজ। ২০ রান করে আউট হন ঈশান কিশনও। কেশব মহারাজের বলে মালানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৫১ রানে চার উইকেট হারায় ভারত। সেই অবস্থা থেকে দলকে বরে করার চেষ্টা করছিলেন শ্রেয়াস আয়ার। দ্রুত রান তোলার দিকে মন দিয়েছিলেন তিনি। ৩৭ বলে ৫০ রান করেন শ্রেয়াস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকতে পারলেন না। লুঙ্গি এনগিডির বলে রাবাদার হাতে ক্যাচ দেন শ্রেয়াস।
শেষ বেলায় ঝড় তোলেন সাঞ্জু স্যামসন। কিন্তু অন্য দিকের ব্যাটাররা একের পর এক আউট হতে থাকেন। এনগিডি এক ওভারে দু’টি উইকেট নিয়ে চাপে ফেলে দেন ভারতকে। নন স্ট্রাইকারের দিকে তখন দাঁড়িয়ে সাঞ্জু। উল্টো দিকের ব্যাটাররা আসছেন এবং ফিরে যাচ্ছেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৩০ রান। বল করতে আসেন শামসি। সেই ওভারে একটি ছয় এবং তিনটি চার মারেন সাঞ্জু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার ৮৬ রানে অপরাজিত ইনিংসও জেতাতে পারল না দলকে। ৯ রানে হেরে যায় ভারত।